দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁসের (সাইফার) মামলায় পাকিস্তানের একটি আদালত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। অভিযুক্ত হওয়ার কারণে কারাবন্দি পিটিআই নেতার আগামী বছরের সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনা অনেকটাই হুমকির মুখে পড়েছে।

 

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ইমরান খানের পাশাপাশি তার ডেপুটি শাহ মেহমুদ কুরেশিকেও এ মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। খবর জিও নিউজের।

অভিযোগটি গত বছর ওয়াশিংটনে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের ইসলামাবাদে পাঠানো একটি গোপনীয় নথির সঙ্গে সম্পর্কিত, যেটি প্রকাশ করার জন্য ইমরান খান অভিযুক্ত হয়েছেন। তবে ইমরান খান এ অভিযোগে দোষ স্বীকার করেননি।

অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে দোষী সাব্যস্ত হলে এ মামলায় ১৪ বছর জেল বা এমনকি মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।

ইমরান খান বলেছেন, ২০২২ সালে মস্কো সফর করার পর তার সরকারকে পতনের জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও মার্কিন সরকারের ষড়যন্ত্রের প্রমাণ ছিল নথিটি।

ওয়াশিংটন ও পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ক্রিকেট তারকা থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ২০১৮ সালের শেষ সাধারণ নির্বাচনে জিতেছিলেন ইমরান খান। তার বিরুদ্ধে কয়েক ডজন আইনি মামলা হয়েছে, যেগুলোকে তিনি রাজনৈতিক হিসেবে নিন্দা করেছেন। একটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। সাজা স্থগিত করা হলেও তিনি অন্যান্য মামলায় কারাগারে রয়েছেন।

এদিকে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কারণে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্যও অযোগ্য রয়ে গেছেন। অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টস মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার কারণে নির্বাচনের আগে তার দলের পক্ষে প্রচারণা চালানোর জন্য জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনাও হ্রাস পেয়েছে। তবে তার আইনি দল তাকে জামিনে মুক্তি এবং নিষেধাজ্ঞা বাতিলের জন্য চাপ দিচ্ছে।