দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপে দুদল একটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল। বিশ্বকাপ শেষে আবার বাংলাদেশে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলে দেশে ফিরলেও বিশ্রাম নেই কিউইদের। এবার তারা আতিথেয়তা দিচ্ছে বাংলাদেশকে। দুদল তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওডিআইতে মুখোমুখি হবে রোববার ভোর ৪টায়। আগের নয়টি সফরে সেখানে গত বছর মাত্র একটি টেস্ট ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে অধরা জয়ের খোঁজে নাজমুল হোসেন শান্তর দল মাঠে নামবে। ডানেডিনে অনুষ্ঠিত ম্যাচ সরাসরি দেখা যাবে গ্রিন টিভিতে।

বিশ্বকাপের আগে তিন ম্যাচের হোম সিরিজে বাংলাদেশ হেরেছিল ২-০তে। বিশ্বকাপেও লড়াই করতে পারেনি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এরপর হোম টেস্ট সিরিজ ১-১ এ ড্র করেছে বাংলাদেশ। কিউই কন্ডিশনে এই ফরম্যাটে জয়ের রেকর্ড না থাকলেও এবার ওয়ানডে ও টি ২০ সিরিজে জয়ের লক্ষ্যের কথা জানালেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। ২০২২ সালের জানুয়ারির মাউন্টমঙ্গানুই টেস্টে পাওয়া জয় নাজমুলদের অনুপ্রেরণা। ট্রফি উন্মোচন শেষে শুক্রবার ডানেডিনে নাজমুল বলেন, ‘আমরা সিরিজ জিততে মুখিয়ে আছি। এই দলটা ভালো। গত বছর আমরা এখানে একটি টেস্ট জিতেছি। এবার ওয়ানডে ও টি ২০ সিরিজ জেতা আমাদের লক্ষ্য। যদি জিততে পারি সেটা খুবই ভালো কিছু হবে।’

বিশ্বকাপে ভরাডুবির ধাক্কা এখনো সামাল দিতে পারেনি বাংলাদেশ। দলের পারফরম্যান্স এবং ক্রিকেট বোর্ডকে নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নেই এই সিরিজেও। এছাড়া ইনজুরির কারণে দলে নেই অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তাসকিন আহমেদ। বিশ্বকাপের আগে নাটকীয়ভাবে বাদ পড়া তামিম ইকবালও নেই। কিছু নতুন মুখ এই সিরিজে সুযোগ পেয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রস্তুতি ম্যাচের জয় দলকে আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে।

কেইন উইলিয়ামসনসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার বিশ্রামে রয়েছেন এই সিরিজে। তারা কাইল জেমিসনের ব্যাকআপ হিসাবে ২৫ বছর বয়সি পেসার বেন সিয়ার্সকে দলে নিয়েছে। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত শুরু করা নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনালে ভারতের কাছে হেরে যায়। উপমহাদেশে টানা স্পিন সহায়ক উইকেটে কয়েকটি সিরিজ খেলেছে নিউজিল্যান্ড। এবার পেস সহায়ক উইকেটে পরিকল্পনা সাজাতে চায় কিউইরা। নিজেদের কন্ডিশন হলেও তাদেরও মানিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ আছে। কিউই অধিনায়ক টম লাথাম জানিয়ে দিলেন নিজেদের পেস শক্তির কথা। ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে লাথাম বলেন, ‘আমাদের বোলারদের দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন সবার বলেই পেস ও বাউন্স আছে। এই কন্ডিশনে যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুইংও করাতে পারে সবাই। ভারতের কন্ডিশন থেকে এখানকার কন্ডিশন আলাদা, তাই পরিকল্পনা পালটাতে হবে।’

এখন পর্যন্ত ৪২ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ১০টিতে। একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। নিউজিল্যান্ড জয় পেয়েছে ৩১ ম্যাচে।