দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের বিষয়েও প্রেসিডেন্ট পুতিন আলাপ করেছেন। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রকে একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে বর্ণনা করলেও এর বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদের অভিযোগ আনেন পুতিন।  

 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ‘অন্যান্য ব্যক্তি ও দেশকে সম্মান’ করার আহ্বান জানিয়ে পুতিন বলেন, দেশটি (যুক্তরাষ্ট্র) যদি তা করতে পারে, তবে রাশিয়া সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করতে প্রস্তুত।

নিউইয়র্ক টাইমসের সংবাদদাতা ভ্যালেরি হপকিন্স রাশিয়ান এই নেতাকে রাশিয়ার কারাগারে বন্দি দুই আমেরিকান নাগরিকের বিষয়ে প্রশ্ন করেন।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বহুল সম্মানিত সংবাদদাতা ইভান গার্শকোভিচ এবং সাবেক সামুদ্রিক পল হুইলানকে মুক্তি দিতে রাশিয়ার দাবির বিষয়ে জিজ্ঞেস করেন।
যুক্তরাষ্ট্র উভয় ব্যক্তিকে অন্যায়ভাবে আটক হিসেবে দেখছে। বৃহস্পতিবার মি. গের্শকোভিচের আটকের মেয়াদ ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

তিনি ইয়েকাটেরিনবার্গ শহরে পত্রিকার জন্য রিপোর্ট করার সময় তাকে গ্রেফতার এবং গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। তবে তিনি এবং তার সহকর্মীরা এই অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছেন।

পুতিন বলেন, সম্ভাব্য বিনিময়ের বিষয়ে... আমরা একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে চাই, এবং সেই চুক্তিটি অবশ্যই পারস্পরিকভাবে গ্রহণযোগ্য এবং উভয় পক্ষের জন্য উপযুক্ত হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। এই আলোচনাটি জটিল আর আমি এই বিষয়ের গভীরে যাব না। তবে আমি মনে করি আমরা এমন একটি ভাষায় কথা বলছি যা উভয় পক্ষই বুঝতে পারছি। আশা করছি আমরা একটা সমাধান খুঁজে পাব।

ক্রেমলিনপন্থী সহকর্মীসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ‘দুষ্টু ব্যক্তিদের ধরাশায়ী’ ফৌজদারি কোড পরিবর্তন করা যেতে পারে কিনা একজন সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন,ধরাশায়ী করার জন্য তিনি কী করেছিলেন? তিনি কী? কোন বড় বিরোধী ব্যক্তিত্ব বা কিছু?

রাশিয়ার সবচেয়ে বড় বিরোধী ব্যক্তিত্ব আলেক্সি নাভালনি ১৯ বছর জেলে ছিলেন। তার দল বলেছে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে তারা তার কাছে যাওয়ার কোনো অনুমতি পায়নি।