ফারজানার সেঞ্চুরির পরেও হার বাংলাদেশের
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: সেঞ্চুরি ছুয়ে আরও একবার রেকর্ডবুকে নাম লেখালেন ফারজানা হক। প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে করলেন বিদেশের মাটিতে সেঞ্চুরি।কিন্তু তবুও বাংলাদেশের রান ছুতে পারেনি আড়াইশ। শেষ অবধি সহজ জয়ই পেয়ে গেছে প্রতিপক্ষ।
পচেফস্ট্রুমে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে ৮ উইকেটে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২২ রান করে বাংলাদেশ। ওই রান স্বাগতিকরা তাড়া করে যায় ২৯ বল হাতে রেখে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪৮ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় বাংলাদেশ। ৩৬ বলে ২৮ রান করে ক্যাচ আউট হয়ে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি মুর্শিদা খাতুন ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। ১৩ বলে ৮ রান করে মুর্শিদা ও ৩৩ বলে ১৩ রান করেন আউট হন জ্যোতি। ১২১ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে এই পুরো সময় একপাশ আগলে রাখেন ফারজানা হক পিংকি। ক্লান্তি, অবসাদকে দূরে ঠেলে সেঞ্চুরি পেয়ে যান তিনি। এ বছর বাংলাদেশের মেয়েদের ওয়ানডেতে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে সেঞ্চুরি করেন পিংকি, দ্বিতীয়টিও এলো তার হাত ধরেই। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তার সেঞ্চুরিও অবশ্য দলের রান আড়াইশ ছাড়িয়ে নিতে পারেনি।
ইনিংসের শেষ ওভারে এসে রান আউট হওয়ার আগে ১১ চারে ১৬৭ বলে ১০২ রান করেন ফারজানা। আরেকদিকে ৪৮ বলে ৪৬ রান করেন ফাহিমা খাতুন। এ দুজনের জুটি ছিল ৯৫ রানের। রান তাড়ায় নেমে ব্যবধানটি কমিয়ে ফেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার। তাদের ১০৬ রানের জুটিতে ম্যাচ থেকে ধীরে ধীরে ছিটকে যেতে থাকে বাংলাদেশ। কিন্তু হুট করেই সঞ্চার হয় প্রাণের। দুই বলে দুই উইকেট পেয়ে যায় বাংলাদেশ।
রিতু মণির করা ২৫তম ওভারের শেষ বলে তাজিম বোস ক্যাচ দেন ৮৪ বলে ৫০ রান করে। পরের ওভারের প্রথম বলে এসে ফাহিম খাতুন বোল্ড করেন লরা উলভারডটকে। ৩ চারে ৬৭ বলে ৫৪ রান করেন তিনি। কিন্তু ওটুকু অবধিই। এরপর আর উইকেট নিতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। সানে লুসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন আনিকা বোস। ৬৩ বলে ৬৫ রান করে ম্যাচসেরা হন আনিকা, ৫৭ বলে ৪৭ রান আসে সানের ব্যাটে।