দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: শিগগিরই শীত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দেশের তিন বিভাগের কোনো কোনো জায়গায় আজ রোববার ও আগামীকাল সোমবার হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির পর আকাশ মেঘুমক্ত হলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমতে পারে। ফলে চলতি মাসের শেষ দিকে বাড়তে পারে শীতের অনুভূতি।


আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ রোববার সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আজ ও আগামীকাল ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকা ও দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্যান্য অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা জানান, সাগর থেকে কিছু মেঘ আসছে। এর প্রভাবে তিন বিভাগে হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। সোমবার থেকে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। তবে তাপমাত্রা ক্রমাগত কমার প্রবণতা শুরু হতে পারে আগামী ২৬ ডিসেম্বরের (মঙ্গলবার) পর।

আবহাওয়াবিদরা বলেছেন, কিছুদিন দেশের দক্ষিণাঞ্চলে কুয়াশার ঘনত্ব বেশি থাকতে পারে। দক্ষিণাঞ্চল বঙ্গোপসাগরের নিকটবর্তী হওয়ায় এই অঞ্চলের নদী অববাহিকায় থাকা মেঘ এই সময়ে কুয়াশায় পরিণত হয়। ফলে এ সময় দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা থাকতে পারে।

এদিকে গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ থকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেশি ছিল অঞ্চলভেদে। আবহাওয়াবিদরা বলেছেন, মূলত আকাশে থাকা মেঘের স্তরের কারণে দিনের তাপমাত্রা বের হয়ে যেতে পারে না। ফলে রাতের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তবে বৃষ্টির পর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে পারে।

তাপমাত্রা কমলেও চলতি মাসে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা অনেকটাই কম বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। কাজী জেবুন্নেছা বলেন, ‘আমাদের জলবায়ুর প্রবণতা অনুযায়ী জানুয়ারির শুরুর দিকে শৈত্যপ্রবাহ হয়ে থাকে। সে হিসাবে, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তবে এটা এখনই নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। ’