গণতন্ত্রকে সুদৃঢ় করা সহ যেসব বিষয় গুরুত্ব পেলো আ. লীগের ইশতেহারে
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবার সরকার গঠন করতে পারলে গণতন্ত্রকে আরও সুদৃঢ় করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দলটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার পর রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণাকালে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।
আওয়ামী লীগের দ্বাদশ নির্বাচনের ইশতেহার পুস্তিকা আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি তার বক্তব্যে সংক্ষিপ্ত আকারে ইশতেহার তুলে ধরেন।
ইশতেহার ঘোষণার বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করলে রাষ্ট্র পরিচালনার সব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সুশাসন ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চা আরও সুদৃঢ় করব।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস দমন, সব নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও জনগণের জীবনমান উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রাষ্ট্র পরিচালনায় সংবিধানের প্রাধান্য, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠন সুনিশ্চিত করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, গণমানুষের দল আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই-সংগ্রাম করে আসছে। মানুষের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে আমরা সদা তৎপর। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় নির্বাচনের মাধ্যমে একটি কার্যকর সংসদই পারে কেবল জনগণের স্বার্থ রক্ষা করতে।
মানবাধিকার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ আইনের শাসন ও মানবাধিকারের সপক্ষে সবসময়ই সোচ্চার। সামাজিক বৈষম্য নিরসন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কাঙ্ক্ষিত শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের লক্ষ্য, যেখানে আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা এবং সুবিচার নিশ্চিত হবে।
তিনি বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংরক্ষণ ও মর্যাদা সমুন্নত রাখা হবে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের স্বাধীনতা এবং কার্যকারিতা সুনিশ্চিত করার ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে ইশতেহার প্রণয়ন উপ-কমিটির আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক স্বাগত বক্তব্য দেন। এরপর বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দলের শীর্ষ নেতারা ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন।