দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) সইয়ের জন্য আলোচনা চলছে। এর ফলে বাংলাদেশি পণ্য জাপানের বাজারে শুল্কমুক্তভাবে প্রবেশ করতে পারবে। 

 

বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দুই দেশের মধ্যে ইপিএ সইয়ের জন্য গঠিত যৌথ সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরিও উপস্থিত ছিলেন।

২০২৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর কিংবা ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে জাপানের সঙ্গে ইপিএ চুক্তি সই করার আশা ব্যক্ত করেন বাণিজ্য সচিব। কারণ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের কারণে ২০২৬ সালের নভেম্বরে সেখানে শুল্কমুক্ত সুবিধা বন্ধ হবে। এরই মধ্যে চুক্তি সই হলে, সেটা হারাতে হবে না।

ইপিএ থেকে বাংলাদেশের কী সুবিধা পাবে এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য সচিব বলেন, বাংলাদেশি পণ্য তাদের বাজারে শুল্কমুক্তভাবে প্রবেশ করতে পারবে। ২০২৬ সালের পরেও জাপানের বাজারে আমরা এ সুবিধা পাব। প্রতি বছর দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগও বাড়ছে। প্রথমবার জাপানের মতো একটি বড় দেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) সই নিয়ে সত্যিকারের কোনো আলোচনা করতে যাচ্ছি। জাপান একটি উন্নত দেশ, অনেক বড় অর্থনীতি, তাদের সঙ্গে আমরা অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি করতে যাচ্ছি। এর আগে শ্রীলংকা ও ভুটানের মতো ছোট অনেক অর্থনীতির দেশের সঙ্গে ইপিএ নিয়ে আলোচনা করেছি।

সিনিয়র সচিব জানান, জাপানের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) কেবল বাণিজ্যের মধ্যেই সীমিত থাকবে না, এখানে বিনিয়োগ, সরকারি ক্রয়সহ সেবা খাতেও বিনিয়োগ হবে।

এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, এ চুক্তি থেকে দুপক্ষ কী পরিমাণ লাভবান হবে, সেটা আগে বলা কঠিন হবে। তবে এটি কেবল শুল্কের সঙ্গেই সম্পর্কিত না, সেবা খাত, বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নতকরণসহ বিভিন্ন বিষয় রয়েছে।

জাপান বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ এবং বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ জাপান থেকে ২০৩ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ১৯০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য জাপানে রপ্তানি করে। জাপান বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য একটি বাণিজ্য সম্ভাবনাময় এলাকা। পণ্য ছাড়াও সেবা ও বিনিয়োগ খাতেও জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে।