দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বছরের শেষদিনে মাগুরা জেলার বেকার সমস্যা সমাধানে অন্ততপক্ষে ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ওয়ার্ল্ডক্লাস ক্রিকেট একাডেমি গড়ে তোলা, ফ্রি ওয়াইফাই জোন তৈরি, কৃষিখাতের আধুনিকায়ন সহ বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনার কথা জানালেন সাকিব আল হাসান।

 

জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান রোববার সন্ধ্যায় 'ইয়থ টক উইথ সাকিব মঞ্চে' থেকে নতুন প্রজন্মের ভোটারদের নানা প্রশ্নের উত্তর পর্বে নিজের এসব পরিকল্পনার কথা জানান।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক আবু ইমাম বাকেরের উদ্যোগে মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানে বিশাল মঞ্চ বানিয়ে সেখানে নতুন প্রজন্মের ভোটারদের মুখোমুখি করা হয় মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী সাকিব আল হাসানকে।

সন্ধ্যা ৭ টায় সাকিব আল হাসান মঞ্চে ওঠেন। সুফি ফারুক ইবনে আবু বকর এর সঞ্চালনায় সেখানে উপস্থিত হাজারো তরুণ ভোটারদের মধ্য থেকে ১১ জন জেলার স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও ক্রীড়াঙ্গণের মানোন্নয়ন, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি নির্বাচনী এলাকার মানুষের কল্যাণে নিজস্ব পরিকল্পনার বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন ও পরিকল্পনা জানতে চান।

নতুন প্রজন্মের কাছ থেকে পাওয়া এসব প্রশ্নের বিপরীতে একে একে জবাব দেন সাকিব আল হাসান। আগামী নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচত হলে মাগুরার শিল্পায়নে উদ্যোগ নেবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, মাগুরা কৃষিপ্রধান একটি ছোট জেলা। এখানে শিল্পের বিপ্লব ঘটেনি। প্রসার খুব কম। কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে পারি। যদিও সেটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু নির্বাচিত হলে সেই চ্যালেঞ্জটি নিতে পারবো। যেহেতু কৃষিপ্রধান অঞ্চল সেটিকে কীভাবে আরো ডেভেলপ করা যায় সেটি নিয়ে কাজ করা যেতে পারে।

বেকার সমস্যা সমধানে পরিকল্পনা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, আমার অনেক দিনের স্বপ্ন ছিলো জেলার বেকার সমস্যা সমাধানে একটি ভূমিকা রাখা। অন্ততপক্ষে ১০ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা। রাজনীতির প্লাটফরমে থেকে এটি করা সম্ভব। আমিও নিজেও আশাবাদি সেটি করতে পারবো।

একইভাবে অন্যান্য তরুণ ভোটারদের প্রশ্নের জবাবে সাকিব জানান, একটি নির্দিষ্ট দিক নয় সমষ্টিগত উন্নয়নের জন্যে কিছু করার পরিকল্পনা রয়েছে। এখানকার সাধারণ মানুষের প্রথম চাওয়া নিজেদের নিরাপত্তা। এরপর মূলত তাদের মৌলিক অধিকারগুলো যেনো নিশ্চিত হয় সেটি। এটি যে পাচ্ছে না তা নয়। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সেই হিসেবে তারাও উপযুক্ত সময়ের মধ্যে নিজেদের অধিকার বাস্তবায়নের নিশ্চিয়তা চায়। অবশ্যই সেটি নিয়ে কাজ করার সুযোগ পাবো যদি আমাকে নির্বাচিত করা হয়।

সাকিব বলেন, মাগুরা ছোট জেলা। নিয়মিত ভালো ফুটবলার তৈরি হলেও জেলায় ডেজিগনেটেড স্টেডিয়াম না থাকায় সেই হারে ক্রিকেটার তৈরি হয়নি। এখানে আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম তৈরি করার যায় কিনা ভেবে দেখা হবে। তবে ইচ্ছে আছে এখানে একটি ওয়ার্ল্ডক্লাস ক্রিকেট একাডেমি গড়ে তোলা। এটি করা গেলে অন্তত খুলনা বিভাগের ছেলে মেয়েরা ভালো ক্রিকেটার হিসেবে নিজেদের তৈরি করার সুযোগ পাবে।

প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে সাকিব আল হাসান উপস্থিত তরুণ ভোটারদের নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান।