ওবায়দুল কাদেরের প্রচারকালে আ.লীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ২৪
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ওবায়দুল কাদেরের পক্ষে প্রচারকালে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২৪ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে প্রচারে ব্যবহৃত তিনটি মাইক্রোবাস, সংযোগ কেটে দেওয়া হয় প্রচার মাইকের।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে আটজনকে কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা ৭টার দিকে কবিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আলাবক্স তাহের টিটু ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবিরের নেতৃত্বে তিনটি মাইক্রোবাস ও কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভূঁইয়ারহাট বাজারে আসেন। পরে নোয়াখালী-৫ আসনের নৌকার প্রার্থী ওবায়দুল কাদেরের পক্ষে লিফলেট বিতরণ করেন। লিফলেট বিতরণ শেষে ভূঁইয়ারহাট যাত্রী ছাউনির সামনে পথসভা করে নৌকার পক্ষে ভোট আহ্বান করেন।
এ সময় বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন শাহীনের নেতৃত্বে নৌকার প্রচারে এলে উভয়পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা, ধাওয়া-পালটাধাওয়া এবং পরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
কবিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আলাবক্স তাহের টিটু অভিযোগ করে বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পর বিভিন্ন সময় আমরা কাদের ভাইয়ের পক্ষে প্রচারে গেলে বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন আমাদের নেতাকর্মীদের মারধর ও বাধা দেয়।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, আজ প্রথমে আমরা নৌকার পক্ষে কাছারিহাট, ওটারহাট প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণ করি। পরে সন্ধ্যায় ভূঁইয়ারহাট বাজারে লিপলেট বিতরণ করার পর আমাদের নেতাকর্মীরা নৌকার ভোট চেয়ে বক্তব্য দিচ্ছিল। এ সময় শাহীনের পক্ষে স্লোগান দিয়ে শাহীনের নেতৃত্বে তার অস্ত্রধারী লোকজন এসে প্রথমে আমাদের মাইকের তার কেটে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে এবং আমাদের তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এতে আমাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন শাহীন বলেন, আমরা ওবায়দুল কাদেরের প্রচার ও লিফলেট বিতরণ করতে করতে তাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের নেতাকর্মীরা আমাদের লোকজনের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে এবং কয়েকজনকে মারধর করে। এতে আমিসহ আমার চারজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
কবিরহাট থানার ওসি হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নির্বাচনি প্রচারের সময় আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। তবে এখনো কেউ লিখিত কোনো অভিযোগ দেয়নি।