পেঁয়াজ ও শীতকালীন সবজির দাম কমেছে
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজ ও শীতকালীন সবজির দাম কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। ব্রয়লার মুরগি আগের সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার (০৫ জানুয়ারি) রাজধানীর তালতলা ও শেওড়াপাড়া বাজার ঘুরে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চলতি সপ্তাহে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। যা গত সপ্তাহে একই দামে বিক্রি হয়েছে। সোনালি, সোনালি হাইব্রিড ও লেয়ার মুরগির দামও আগের মতোই আছে। বাজারে সোনালি ৩২০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩০০, দেশি মুরগি ৫০০-৫২০ ও লেয়ার ২৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে তালতলা বাজারের মুরগি বিক্রেতা মামুন বলেন, গত সপ্তাহের দামেই আমরা মুরগি বিক্রি করছি। বেশ কিছুদিন ধরেই মুরগির বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। দামের কারণে বিক্রি অনেক কমে গেছে বলেও তিনি জানান।
চলতি সপ্তাহে এসব বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে। দেশি পেঁয়াজ (পুরাতন) ১২০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ (নতুন) ৯০ এবং ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে এসব বাজারে পেঁয়াজ (দেশি) ১৩০ টাকা, নতুন পেঁয়াজ ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
তালতলা ডেসকো অফিসের সড়কের সামনে পেঁয়াজ বিক্রেতা আমিনুল বলেন, গত সপ্তাহে দেশি পুরাতন পেঁয়াজ ১৩০ টাকা, দেশি নতুন পেঁয়াজ ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। চলতি সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কমেছে।
এসব বাজারে শীতকালীন সবজির দামও কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। তবে গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম অপরিবর্তিত আছে।
বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শিম ৫০-৮০, ফুলকপি ৪০-৫০, বাঁধাকপি ৩০-৫০, পাকা টমেটো (প্রকারভেদে) ৫০-৭০, কাঁচা টমেটো ৪০, কচুরমুখী ১০০ এবং গাজর ৫০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার এসব বাজারে বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৬০, ঢেঁড়স ১০০, পটল ৮০, বরবটি ১২০, ধুন্দুল ৮০, চিচিঙ্গা ৮০, খিরাই ৪০-৫০, শসা ৬০, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০, লেবুর হালি ২০-৪০, ধনে পাতা কেজি ১০০-১৫০, কলার হালি ২০, জালি কুমড়া ৪০ ও মিষ্টি কুমড়া ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, নতুন আলু ৬০-৭০, পেঁয়াজের ফুলকলি ৬০ ও কাঁচা মরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।
এছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৩০, মূলা শাক ১০ থেকে ১৫, পালং শাক ১৫ ও কলমি শাক ১০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৫৮০ থেকে ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১০৫০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২০০ ও দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকায়। তবে গত সপ্তাহে লাল ডিম ১২০ টাকা ডজন বিক্রি হয়েছে।
বাজারে গরুর মাংসের দাম কিছুটা কম থাকায় মাছের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। শুক্রবার ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা, এক কেজি শিং মাছ (চাষের, আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৫০০, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০-৫৫০, মাগুর মাছ ৭০০-৯০০, মৃগেল ৩০০-৪৫০, পাঙ্গাস ২০০-২২০, চিংড়ি ৬০০-৮০০, বোয়ালমাছ ৪০০-৯০০, কাতল ৪০০-৬০০, পোয়া মাছ ৩৫০-৪০০, পাবদা মাছ ৪০০-৪৫০, তেলাপিয়া ২২০, কৈ মাছ ২২০-২৩০, মলা ৫০০, বাতাসি টেংরা ৯০০, টেংরা মাছ ৬০০-৭০০, কাচকি মাছ ৬০০, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০, রুপচাঁদা ১ হাজার, বাইম মাছ ১০০০-১২০০, দেশি কই ১ হাজার, সোল মাছ ৬০০-৮০০, আইড় মাছ ৬০০-৮০০ এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।