চুয়াডাঙ্গার মানুষের স্বপ্ন পূরণের কারিগর এম এ রাজ্জাক খান রাজ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার মানুষের ভরসার এবং স্বপ্নপূরণের কারিগর হয়ে উঠেছেন এম এ রাজ্জাক খান রাজ সিআইপি। বাংলাদেশের উন্নয়নে একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার পাশাপাশি তিনি একজন সমাজসেবক এবং সফল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তার সকল কর্মকান্ডের মূল লক্ষ্য থাকে মাটি ও মানুষের কল্যাণ।
১৯৯৩ সালে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সদস্যপদ লাভ করা থেকে শুরু করে তিনি নিরবচ্ছিন্নভাবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে জনকল্যাণমূলক কাজ করে যাচ্ছেন। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে নিজের আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর পাশে থেকে জোর প্রচারণা চালান এবং দিনরাত দলের জন্য কাজ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপ কমিটির সদস্যপদ লাভ করেন যার দায়িত্ব এখন পর্যন্ত অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে পালন করে আসছেন।
করোনা হোক, ডেঙ্গু হোক, কিংবা কোনো দূর্যোগ; সর্বস্ব দিয়ে চুয়াডাঙ্গার মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসার প্রথম মুখটিই তেজী নেতা রাজ্জাক খান রাজ-এর। এলাকার নারীদের উন্নয়নে সেলাই মেশিন বিতরণ, মসজিদের মুসল্লিদের নামাজের সময় গরমের কষ্ট লাঘব করতে এসি উপহার দেওয়া, কবরস্থানের সৌন্দর্যবর্ধনে কাজ করা, রানা প্লাজা ধ্বসে সার্বিকভাবে ঝাপিয়ে পড়ে সাহায্য করা, করোনাকালীন সময়ে দেশব্যাপী বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ,প্রতিবন্ধীদের হুইলচেয়ার বিতরণ, শিশুদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা সৃষ্টির জন্য বৃক্ষরোপন, দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো কিংবা ডেঙ্গুর প্রকোপে দরিদ্র মানুষের ঘরে ঘরে মশারি বিতরণ, সব জায়গাতেই উজ্জ্বল এক দৃষ্টান্ত এই জনদরদি নেতা।
করোনা মহামারীর সময় যখন অক্সিজেন এবং মাস্কের বিশাল সংকট দেখা দেয়, তখন বিনামূল্যে এগুলোর ব্যবস্থা করার পাশাপাশি রাজ্জাক সাহেব চুয়াডাঙ্গার পলাশপাড়ায় নিজ বাড়ি ‘খান মহল’কে ‘জরুরি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে’ রূপান্তর করেন। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের বাড়িতে গিয়ে গিয়ে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন। ওনার মতো নির্ভীক নেতাই পারবে দেশকে উন্নত করে তুলতে সঠিক নেতৃত্ব দিতে।
গত বছর ডেঙ্গু যখন ভয়াবহ আকার ধারণ করে রাজ্জাক খান রাজ তখন গরীব মানুষদের মধ্যে মশারি বিতরণ করেন। বিপদের বন্ধু হয়ে তিনি সবসময় সবার পাশে হাজির হন। তৃণমূল পর্যায়ের মানুষদের নিয়ে কাজ করার মানুষ বা নেতার দেখা পাওয়া আজকাল দুষ্কর। রাজ্জাক খান রাজ হচ্ছেন সেই নেতা। প্রায় ৫,০০০ মানুষের কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষের কাছে এক ভরসার জায়গায় পরিণত হয়েছেন রাজ্জাক খান রাজ সিআইপি।
তাঁর উন্নয়ন শুধুমাত্র চুয়াডাঙ্গাকে ঘিরেই এমন নয়। রাজ্জাক খান রাজ বিদেশ থেকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশে এসে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনে বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্সের বাজারে। তার কোম্পানি মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপ, ইলেকট্রনিক্স পণ্যকে সর্বস্তরের মানুষের হাতের নাগালে এনে দিয়েছে। রাজ্জাক খান রাজ নিজের আকাশচুম্বী লাভের কথা বিবেচনা না করে দেখেছেন কীভাবে নিম্ন আয়ের মানুষের স্বপ্ন পূরণ করা যায়। তার তাই ঘরে ঘরে এখন মিনিস্তার-মাইওয়ানের পণ্য।
কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন অঙ্গনে অবদানের জন্য বেশ কিছু সম্মাননাও পেয়েছেন রাজ্জাক খান রাজ। করোনাকালীন সঙ্কটময় মূহুর্তে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ এবং বৈশ্বিক যুবাদের অনন্য মানবিক অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ “ঢাকা ওআইসি ইয়্যুথ ক্যাপিটাল ২০২০” এ আয়োজিত অ্যাওয়ার্ড শো তে “শেখ হাসিনা ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২০” পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। ২০১৯-২০২০ সালে বাণিজ্যে অবদানের জন্য তিনি সিআইপি (ট্রেড)-২০২১ কার্ড পেয়েছেন। এছাড়াও, তিনি ২০১৮ সালে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত এশিয়ার ‘বেস্ট ব্র্যান্ড এন্ড লিডার’ পুরস্কার অর্জন করেন ।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে ‘ফ্রিজ’ মার্কায় লড়ছেন জনপ্রিয় নেতা জনাব রাজ্জাক খান রাজ। সর্বদা তিনি মানুষের সেবা করে এসেছেন এবং তারই ধারাবাহিকতায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আরও এক নতুন পদক্ষেপ নিয়েছেন এই জননেতা। নির্বাচনী সময় ছাড়াও তিনি চুয়াডাঙ্গার মানুষের জন্য নিজেকে উজাড় করে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা গড়ার প্রত্যয়ে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের জনপ্রিয় নেতা এম এ রাজ্জাক খান রাজ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ‘ফ্রিজ’ মার্কা নিয়ে তার নিজ এলাকায় জনসংযোগ করে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। সকল বয়সের মানুষ নির্বিশেষে তার গণসংযোগ এবং সমাবেশে যোগদান করছেন। সকলেই তাকে সমর্থন করার পাশাপাশি দোয়া দিচ্ছেন। ইতোমধ্যে তিনি গুলশানপাড়া, বেলগাছি, পলাশপাড়া, জামজামি ইউনিয়ন, আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ, ঘোলদাড়ী বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেছেন।
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের মানুষ চায় যেন তাদের নেতা এম এ রাজ্জাক খান রাজ নির্বাচনে জয়লাভ করেন। তাদের উন্নয়নের জন্য জনদরদি এই নেতার কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন স্থানীয় জনগণ। এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা মসজিদের ইমাম বলনে, “ আমি মনে করি এম এ রাজ্জাক খান রাজ চুয়াডাঙ্গার জন্য একজন সুযোগ্য প্রার্থী। তিনি সর্বদা মানুষের কথা ভাবেন আর মানুষের জন্য কাজ করেন। কিছুদিন আগেও বেশ কিছু এসির ব্যবস্থা করে দেন মুসল্লীদের জন্য যাতে তাদের গরমে কষ্ট না করতে হয়। এছাড়াও মাদ্রাসা, কবরস্থানের জন্যেও তিনি বিভিন্ন অনুদান দিয়েছেন। তিনি অত্যন্ত উদার মনের মানুষ। আমি চাই নির্বাচনে তিনি জয়যুক্ত হোন।”
এম এ রাজ্জাক খান রাজের নির্বাচনী ইশতেহারেও রয়েছে চুয়াডাঙ্গার মানুষের উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষা। নির্বাচনী ইশতেহারে যা যা রয়েছেঃ
• স্মার্ট, গ্রিন এবং ক্লিন চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা তৈরিকরণ
• স্বাস্থ্যসেবায় ব্যাপক উন্নয়ন
• শিল্পায়নের মাধ্যমে বেকারত্ব দূরীকরণ ও কর্মসংস্থানের অবস্থার অর্থনৈতিক উন্নয়ন
• শিক্ষাখাত ও শিক্ষাঙ্গন স্মার্ট রূপে রূপান্তর করা
• ক্রিড়াখাত আধুনিকায়নের মাধ্যমে স্মার্ট ক্রিড়াঙ্গন এর ব্যবস্থা করা
• সাংস্কৃতিক ও বিনোদন অঙ্গনকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক উন্নয়নের ব্যবস্থা করা
• মসজিদ, মাদ্রাসা ও সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করা
• মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূল করণ
• ভূমি ও গৃহায়ণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করণ
• মাথাভাঙা নদী খনন ও উৎসমুখ তৈরিকরণ
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “চুয়াডাঙ্গায় কোনো উন্নতমানের হাসপাতাল নেই, নেই কোনো বিশ্ববিদ্যালয়। নির্বাচনে ফ্রিজ জয়যুক্ত হলে এখানে হবে বিশ্বমানের হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়। কথা দিচ্ছি ফ্রিজ মার্কা জিতে গেলে চুয়াডাঙ্গাকে মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসহীন একটি স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা হিসেবে গড়ে তুলবো। বেকারত্ব দূরীকরণের পাশাপাশি কৃষিকেও নিয়ে যাবো এক অনন্য মাত্রায়।”