দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিএনপির হাইপ্রোফাইল নেতারা ভিডিও কনফারেন্সে ট্রেনে আগুন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।  ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী ট্রেনে বিশেষ করে নরসিংদীর কাছে অথবা নারায়ণগঞ্জ লাইনে সুবিধাজনক স্থানে যাত্রীবাহী ট্রেনে আগুন দেওয়ার পরিকল্পনা হয়।

 

এরপরই রাজধানীর গোপীবাগে ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডঘটে। শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

এর আগে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দিনগত রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবীসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বেনাপোল এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তাররা সরাসরি জড়িত বলে দাবি ডিবির। এ বিষয়ে ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ট্রেনে আগুন লাগার আগে বিএনপির ১০/১১ জন ভিডিও কনফারেন্স করেন। সেখানে তারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছু পরিকল্পনা করেন।

তিনি জানান, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের পরিকল্পনা হিসেবে বিএনপির হাইপ্রোফাইল নেতারা ভিডিও কনফারেন্স করেন। কনফারেন্সে প্রথমে আসেন মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনাম৷ এরপর আসেন সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন, যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ গাফফার, ইকবাল হোসেন বাবলু, একজন দপ্তর সম্পাদক ও কাজী মনসুর। ওই ভিডিও কনফারেন্সে বৃহত্তর ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী ট্রেনে বিশেষ করে নরসিংদীর কাছে সুবিধাজনক স্থানে অগ্নিসংযোগ করা। আরেকটি স্থান কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ লাইনে আপ-ডাউনে সুবিধাজনক স্থানে যাত্রীবাহী ট্রেনে আগুন লাগিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করার সিদ্ধান্ত হয়। তিনি বলেন, দক্ষিণ যুবদল নেতা রবিউল ইসলাম নয়নের তত্ত্বাবধানে যুবদলের কয়েকটি টিম লালবাগের কয়েকজন দাগি সন্ত্রাসীদের দিয়ে বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন লাগানো হয়। ভিডিও কনফারেন্সে বলা হয়- ট্রেনে কে আগুন লাগাবেন? কনফারেন্সে থাকা ১০-১২ জনের একজন বলেন তিনি আগুন লাগাতে পারবে। তবে তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে তার নামটি আমরা বলব না।