দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ভরা মৌসুমেও চড়া শীতকালীন সবজির দাম। বাজারে বেড়েছে প্রায় সবজির দাম।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, পেঁপে আর মূলা ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ফুলকপি ও বাধাকপি প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। শিম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। আর প্রতি পিস লাউয়ের দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা।

এদিকে, কয়েক সপ্তাহ আগেও আলুর দাম ৬০ টাকা। কেজি থাকলেও বর্তমানে ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্চে। আর লাল আলু পাইকারিতে ৯০-১০০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। গাছ পেঁয়াজের দামও আটকে রয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। এদিকে গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা প্রতি কেজি। ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, বরবটিরও কেজি ৮০-১০০ টাকা।বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টিপাতের কারণে খেতে নষ্ট হয়েছে শাকসবজি। তাই, অন্যান্য বছরের তুলনায় দামও বৃদ্ধি পেয়েছে এবার। তবে, ক্রেতারা বলছেন এখন শীতকালীন সবজির ভরা মৌসুম। ব্যবসায়ীরা এসব অজুহাত দেখালেও বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বেশি। সে হিসেবে এখন দাম কমার কথা। একদম ভরা মৌসুমে এত বেশি দাম, এর আগে কখনো দেখা যায়নি।

এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১০৫০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২০০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকায়। শুক্রবার এসব বাজারে মাছের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারগুলোতে ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা, চাষের শিং মাছের কেজি (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৫০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০-৫৫০, মাগুর মাছ ৭০০-৯০০, মৃগেল ৩০০-৪৫০, পাঙ্গাস ২০০-২২০, চিংড়ি ৬০০-৮০০, বোয়ালমাছ ৪০০-৯০০, কাতল ৪০০-৬০০, পোয়া মাছ ৩৫০-৪০০, পাবদা মাছ ৪০০-৪৫০, তেলাপিয়া ২২০, কৈ মাছ ২২০-২৩০, মলা ৫০০, বাতাসি টেংরা ৯০০, টেংরা মাছ ৬০০-৭০০, কাচকি মাছ ৬০০, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০, রুপচাঁদা ১০০০, বাইম মাছ ১০০০-১২০০, দেশি কই ১০০০, সোল মাছ ৬০০-৮০০, আড়ই মাছ ৬০০-৮০০ এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।