দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের প্রক্রিয়ায় থাকা এনআরবি ব্যাংক লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন সীমায় পরিবর্তন এনেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানিটির আইপিওতে শেয়ার কিনতে বিনিয়োগকারীরা যত খুশি তত টাকার আবেদন করতে পারবেন।

 

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই-সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সাধারণত আইপিওর শেয়ার ক্রয়ে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকার আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়। যার উপর ভিত্তি করে সমান সংখ্যক শেয়ার পেতেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তবে এবার এনআরবি ব্যাংকের আইপিওর শেয়ার ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ সুযোগ দিয়েছে বিএসইসি।

আগামী ২৮ জানুয়ারি ব্যাংকটির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) চাঁদা গ্রহণ শুরু হবে, যা চলবে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আর এ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ জানুয়ারি। এর আগে বিএসইসির ৮৮৭তম কমিশন সভায় এনআরবি ব্যাংককে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ১০ কোটি শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে ব্যাংকটি শেয়ারবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে।

আইপিওর মাধ্যমে সংগ্রহীত অর্থ ব্যাংকটি সরকারি সিকিউরিটিজে ৯২ কোটি টাকা, সেকেন্ডারি মার্কেটে ৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা এবং আইপিও ব্যয় মেটাতে ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয় করবে। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।

প্রসঙ্গত, কোম্পানিটির আইপিও শেয়ারে আবেদনের জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা এবং অনাবাসী বাংলাদেশিদের ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে।