পুঁজিবাজারকে সাপোর্ট দিতে বিনিয়োগ অব্যহত রাখবে সিইও ফোরাম
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে পুঁজিবাজারকে সাপোর্ট দিতে বিনিয়োগ অব্যহত রাখবে দেশের শীর্ষ ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন সিইও ফোরাম। সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় পুঁজিবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ‘সিইও ফোরামে’র সদস্যরা।
এছাড়া গত রোববার (২১ জানুয়ারি) সংগঠনটির বৈঠকে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা পর্যালোচনা করার পাশাপাশি যার যার অবস্থান থেকে পুঁজিবাজারকে সাপোর্ট অব্যাহত রাখার বিষয়ে একমত পোষণ করে সিইও ফোরাম।
বৈঠক শেষে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিইও ফোরামের প্রেসিডেন্ট ও ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছায়েদুর রহমান। আজকের বৈঠকে দেশের ৩০টি শীর্ষ প্রতিষ্ঠানের সিইও উপস্থিত ছিলেন।
ছায়েদুর রহমান বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে পুঁজিবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সাপোর্ট অব্যাহত রাখবে সিই ফোরাম। বিনিয়োগকারীদের প্রতি অনুরোধ, তারা যেন আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি না করেন। তারা যেন পজিটিভলি চিন্তা করেন। কারণ একদিনের ব্যবধানে পুঁজিবাজারের চিত্র পাল্টে গেছে। বাজার আজকে পজিটিভ মুভমেন্টে রয়েছে। যেটাকে ধরে রাখার জন্য সিইও ফোরামের পক্ষ থেকে যা যা করণীয়, তা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন থেকে প্রতিদিনই এ বিষয়গুলো মনিটরিং করছি। সিইও ফোরামের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রত্যেক সিইও যার যার অবস্থান থেকে পুঁজিবাজারকে সাপোর্ট দিতে যা করণীয় তা করবেন। রোববার অনুষ্ঠিত বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিইও ফোরামের সদস্যরা যার যার অবস্থান থেকে পুঁজিবাজারকে সাপোর্ট দিয়েছে। গতকাল বাজারের শেয়ার বিক্রি করার চেয়ে কেনার পরিমান বেশি ছিল, যেটা আজকেও অব্যহত রয়েছে। পুঁজিবাজারের স্বার্থে সিইও ফোরামের এ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।’
এদিকে রোববার সিইও ফোরামের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, পুঁজিবাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ডিলার অ্যাকাউন্টে ১ থেকে ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে। ডিলার অ্যাকাউন্ট থেকে কোনো শেয়ার বিক্রি করা হবে না। বিনিয়োগকারীদেরকে ইতিবাচকভাবে বোঝানোর চেষ্টা করা হবে। ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের কারণে যাতে বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত না হন বা বাজারে বিক্রির চাপ তৈরি না করেন সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।
প্রসঙ্গত, ফ্লোর প্রাইস (শেয়ারের সর্বনিম্ন সীমা) আরোপের প্রায় দেড় বছর পর গত বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) এক আদেশে তা তুলে দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ফলে রোববার (২১ জানুয়ারি) থেকে ৩৫টি ছাড়া বাকি সব কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটগুলো ফ্লোর প্রাইস ছাড়াই লেনদেন হয়। লেনদেন শুরুর ৭ মিনিটের মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ডিএসইএক্স সূচক ২১৪ পয়েন্ট পড়ে অবস্থান নেয় ৬১২২ পয়েন্টে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূচকের পতনমুখী প্রবণতা কমতে থাকে।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর পতনমুখী ডিএসইএক্স সূচক ৯৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৬২৪০ পয়েন্টে।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকালে লেনদেন শুরুতে সূচক কিছুটা পতনমুখী হলেও তা বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঊর্ধ্বমুখী অবস্থানে ফিরে আসে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অর্থাৎ বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ডিএসইএক্স সূচক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছিল ৬২৫৩ পয়েন্টে।