জন্মদিনে কারাগারে মির্জা ফখরুলের সাথে পরিবারের সাক্ষাৎ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় ৭৭তম বছরে পদার্পণ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রতিবছর অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী বড় মেয়ের টেলিফোনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ঘুম ভাঙলেও এবার কারাগারেই কাটাতে হয়েছে নিজের জন্মদিন। দলের নেতা–কর্মীরাও জন্মদিন উপলক্ষে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতেন।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে কারাগারে তার সঙ্গে দেখা করেন স্ত্রী রাহাত আরা বেগম ও ছোট মেয়ে শাফারু মির্জা সুমি। এ সময় মির্জা ফখরুলের যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বোন নাজমা কালামও তাদের সঙ্গে ছিলেন।
মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, উনার শরীরটা ভালো না। ওজন ৫ কেজি কমে গেছে। আমরা তিনজন সকালে কেরানীগঞ্জ গিয়েছিলাম, দেখা হয়েছে। কিছু সময় থেকে চলে এসেছি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জন্ম ১৯৪৮ সালের ২৬ জানুয়ারি, ঠাকুরগাঁওয়ে। ষাটের দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন মির্জা ফখরুল। পরবর্তীতে বেশ কয়েকটি সরকারি কলেজে অর্থনীতির শিক্ষকতা করেছেন।
ব্যক্তিগত জীবনে মির্জা ফখরুলের রয়েছে দুই মেয়ে। বড় মেয়ে মির্জা শামারুহ অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী। ক্যানবেরায় ফেডারেল মেডিক্যাল কাউন্সিলের সিনিয়র সায়েন্টিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। ছোট মেয়ে মির্জা সাফারুহ ঢাকার ধানমণ্ডিতে একটি ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে শিক্ষকতা করেন।
২০০১ সালে বিএনপি নেততৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারে কৃষি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন মির্জা ফখরুল। ২০১১ সালের মার্চে বিএনপির মহাসচিব খন্দকার দেলওয়ার হোসেনের মৃত্যুর পর মির্জা ফখরুল ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পান। ২০১৬ সালে বিএনপির মহাসচিব নির্বাচিত হন তিনি। তার আগে তিনি দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন।
গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের ঘটনার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গত ২৮ অক্টোবর পল্টন ও রমনা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মোট ১১টি মামলা করে। এসব মামলার ৯টির এজাহারে মির্জা ফখরুলের নাম রয়েছে। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই রয়েছেন।