দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আপিল বিভাগের দুই বিচারকের অপসারণের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করা বিএনপি সমর্থক সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানির জন্য আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

 

প্রধান বিচারপতি দেশে না থাকায় সোমবার (২৯ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। তবে এদিন উন্মুক্ত আদালতেই নিজেদের মধ্যে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।

এই সাত আইনজীবী হলেন- জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল, ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. কামরুল ইসলাম সজল।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দুই বিচারকের অপসারণ দাবি করে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল-সমাবেশ করায় বিএনপিপন্থি এই সাত আইনজীবীকে আদালত অবমাননার ব্যাখ্যা দিতে বলেছে আপিল বিভাগ। গত ১৫ নভেম্বরের ওই আদেশে একই সঙ্গে আদালত প্রাঙ্গণে মিছিল-সমাবেশের বিষয়েও আদালতের রায় মেনে চলার নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৫ অগাস্ট শোক দিবসের আলোচনা সভায় ‘বিচারপতিরা শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ উল্লেখ করে দুই বিচারকের বক্তব্য ধরে তাদের অপসারণ চেয়ে কর্মসূচি পালন করেন বিএনপির আইনজীবীরা।

পরে তারা সুপ্রিম কোর্টে সমাবেশ ও কালো পতাকা মিছিল করেন। এবং দুজন বিচারপতির বিরুদ্ধে একাধিকবার সংবাদ সম্মেলনসহ তাদেরকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখতে কর্মসূচিও ঘোষণা করেন।

পরে ২৯ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্টে সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে আইনি ব্যবস্থা চেয়ে আবেদন আবেদন করেন আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথি।