দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আবারও গোলাগুলি শুরু হয়েছে। একটি গুলি সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে এসে পড়েছে। গুলিতে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশার গ্লাস ভেঙে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

 

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের তুমব্রু এলাকার উত্তরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হননি।

সীমান্তের লোকজন বলছেন, শনিবার দুপুর থেকে বান্দারবানের তুমব্রু ও টেকনাফ সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় মর্টারশেল ও গোলাগুলি শব্দ শুনেছেন। এছাড়া তুমব্রু এলাকায় গুরা মিয়া নামের এক চালকের অটোরিকশায় মিয়ানমারের ছোড়া গুলি এসে পড়ে। কিন্তু কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে নতুন করে যেন কেউ অনুপ্রবেশ করতে না পরে সেজন্য সীমান্ত নাফনদে টহল জোরদার রেখেছেন বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যরা।

শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তের বসবাসকারী আব্দুস সালাম বলেন, সকাল-দুপুরে মিয়ানমার সীমান্ত থেকে অনেক গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে৷ এছাড়া সীমান্তের ওপারে বহু মানুষ এপারে অনুপ্রবেশের অপেক্ষা রয়েছে বলে জেলেদের কাছ থেকে শুনেছি।

তুমব্রু সীমান্তের বাসিন্দা মুহাম্মদ শাহাজান মিয়া বলেন, দুপুর থেকে ফের সীমান্তে মর্টারশেল-গোলাগুলি চলছে। এতে এখনকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এছাড়া অটোরিকশায় মিয়ানমারের ছোড়া গুলি এসে পড়েছে।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, মর্টারশেল ও গোলাগুলি বন্ধ না হওয়ায় সীমান্তে বসবাসকারীদের মধ্যে আতঙ্ক কমেনি। আজকেও তুমব্রু সীমান্তে মর্টারশেল ও গোলাগুলি শব্দ শোনা গেছে।

সীমান্তে নজর রাখের এমন এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, কয়েকদিন ধরে সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে আসা কিছু লোকজন অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছেন। কিন্তু সীমান্তরক্ষীরা তাদের ঢুকতে দিচ্ছেন না।

এ বিষয়ে টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লুৎফুল লাহিল মাজিদ বলেন, সীমান্তে আমাদের টহল জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে নতুন করে যেন কেউ অনুপ্রবেশ করতে না পারে। এছাড়া চোরাচালান রোধেও আমরা সর্তক অবস্থানে রয়েছি।