দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: চলতি মৌসুমে চট্টগ্রাম কৃষি অঞ্চলে আমন ধানের রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে। আবাদ হয়েছে ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৭৪০ হেক্টর জমিতে।

 

 

কৃষকের ঘরে গেছে ৫ লাখ ৭২ হাজার ৯২৬ হেক্টর জমির ধান। এই ধান থেকে পাওয়া গেছে ১৬ লাখ ৪৬ হাজার ৫২২ টন চাল।

২০২১-২২ অর্থবছরে চট্টগ্রাম অঞ্চলে উৎপাদন হয়েছিল ১৬ লাখ ২৫ হাজার টন চাল। ২০১৯-২০ অর্থবছরে উৎপাদন হয় ১৫ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬ টন, ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৫ লাখ ৯২ হাজার টন, ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৬ লাখ ২৫ হাজার ১ টন এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে উৎপাদন হয় ১৬ লাখ ১ হাজার ৭৮৪ টন চাল।

ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টির কারণে এ অঞ্চলে ৬ হাজার ৮১৪ হেক্টর জমির আমন ধান নষ্ট হয়েছে। সবচেয়ে বেশি লক্ষ্মীপুর জেলায় ৫ হাজার ১৩৩ হেক্টর জমির ধান নষ্ট হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চট্টগ্রাম অঞ্চলের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় চলতি মৌসুমে ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৭৪০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭৪৮ হেক্টর কম। চট্টগ্রামে চলতি মৌসুমে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১৬ লাখ ৫৬ হাজার ২৪৪ টন চাল। ১৩ হাজার ৯৩৮ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাতের চাল উৎপাদন হয়েছে ৫৫ হাজার ৫৬৯ টন। ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৯৯৯ টন উফশী জাতের আমন ধানে ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ৭৭৩ টন চাল উৎপাদন হয়েছে। ৬০ হাজার ৯৮৯ হেক্টর স্থানীয় জাতের আমন ধানে উৎপাদন হয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ১৮০ টন চাল।

চট্টগ্রাম জেলায় মোট ১ লাখ ৭৯ হাজার ৯৪০ হেক্টর আমন ধানের চাষাবাদ হয়েছে। কাটা হয়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৯০২ হেক্টর ধান। উৎপাদন হয়েছে ৫ লাখ ১৩ হাজার ১৩ টন চাল। নষ্ট হয়েছে প্রায় ৩৮ হেক্টর জমির ধান। হাইব্রিড জাতের চাল হেক্টর প্রতি গড় উৎপাদন ৪.৫ টন, উফশী ২.৯৯ টন এবং স্থানীয় জাতের উৎপাদন ১.৬৫ টন। কক্সবাজার জেলায় ৭৮ হাজার ১৮৫ হেক্টরের মধ্যে কাটা হয়েছে ৭৭ হাজার ৮০৭ হেক্টর জমির ধান। নষ্ট হয়েছে প্রায় ৩৭৮ হেক্টর জমির ধান। উৎপাদন হয়েছে ২ লাখ ৩৭ হাজার ৫০ টন চাল।

চট্টগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন জানান, চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাঁচ জেলায় আমন ধান কাটা শেষ। বিগত অর্থবছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে আমন উৎপাদন ভালো হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফসলের কিছু ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়ার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে।