মর্টার শেলের শব্দে কেঁপে উঠছে সীমান্ত এলাকা
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: দিন যত যাচ্ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘাত বিস্তৃত হচ্ছে। এতদিন মিয়ানমারের উত্তর দিকে সংঘাত চললেও দক্ষিণের পরিবেশ মোটামুটি শান্ত ছিল। এখন সেই সংঘাত নতুন করে অগ্রসর হচ্ছে দক্ষিণ দিকে। ফলে বিদ্রোহীদের একের পর এক মিয়ানমার বিজিপি ঘাঁটি দখল করাটা যেন তাদের টার্গেটে পরিণত হয়েছে।
শনিবার ভোর থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত হোয়াইক্যং উত্তরপাড়া, লম্বা বিল, উনচি প্রাং সীমান্তের পূর্বে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে এলাকাগুলোতে অবস্থিত বিজিপির ঘাঁটিগুলো দখলে নিতে যে ফায়ারিং তাণ্ডব চালিয়েছে তার শব্দে কেঁপে উঠছিল টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা।
এ ছাড়া মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে ফায়ার করা দুটি গুলির অংশও পড়েছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। মর্টারশেলের শব্দ শুনে অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের মন্তব্য জানাচ্ছেন। কেউ বলছেন মর্টারশেলের শব্দগুলো এত প্রকট ছিল যে মনে হয় ভূমিকম্পকে হার মানিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, উত্তরের অনেক ঘাঁটি দখলে নেওয়ার পর নতুন করে লম্বাবিল এলাকার পূর্বে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে কুমিরখালীতে যে বিজিপির ঘাঁটি রয়েছে সেটি দখলের জন্য বিদ্রোহীরা এমন গোলাগুলি চালিয়েছে।
খোরশেদ আলম নামে এক যুবক যুগান্তরকে বলেন, ভোরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গুলির শব্দে আমার ঘুম ভেঙে যায়। পরে দেখি তাদের ফায়ার করা দুটি গুলির অংশ বাড়ির পাশে পড়েছিল। আমরা অনেক ভয়ে আছি। কারণ আমাদের অজান্তে কখন মানুষের গায়ে গুলি লাগে।
বিজিবির এক কর্মকর্তা জানান, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তজুড়ে আমরা সর্বদা প্রস্তুত ও টহল জোরদার করেছে।
এদিকে রাতে নাফ নদ হয়ে নৌকাযোগে ১০০ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে তাদের মিয়ানমারে ফিয়ে দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার লে. কমান্ডার লুৎফুল লাহিল মাজিত।