দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের যোগ্যতার বিভিন্ন মানদণ্ড এবং সুবিধা–শর্তাবলী ঠিক করে নতুন নীতিমালা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ন্যূনতম বয়স ৪৫ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। আর কমপক্ষে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এছাড়া এখন থেকে এমডি পদে নিয়োগ ও বাতিল করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন লাগবে। এ পদের নাম দেওয়া হয়েছে, ‘ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা’। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করলেও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমোদন নিতে হবে। এতদিন শুধু বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করার বিধান ছিল।

 

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগের এ নীতিমালা প্রকাশ করেছে।

এর আগে শুধু ১০ বছরের ব্যবস্থাপনা বা ব্যবসায়িক বা পেশাগত অভিজ্ঞতা থাকলে ব্যাংকপ্রধানের এ পদে নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ ছিল। আর ন্যূনতম বয়সের কোনো বাধ্যাবাধকতা ছিল না। নীতিমালা থেকে জানা গেছে, ব্যাংকের পরিচালকের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত বা পরিবারের সদস্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের এমডি হতে পারবেন না। নতুন সিদ্ধান্তে এমডিদের চাকুরির নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিলেও ব্যাংক থেকে নেওয়া নানা সুবিধাতেও লাগাম টেনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ব্যাংক থেকে নেয়া সব ধরনের সুবিধার বর্ণনা চুক্তিপত্রে উল্লেখ রাখতে নির্দেশনা দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, প্রতি মাসে বেতনের সময় তার বিস্তারিত বিবরণও সংরক্ষণ করতে হবে।

এমডি হিসেবে নিয়োগ পেতে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে ন্যূনতম স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে। অর্থনীতি, হিসাববিজ্ঞান, ফাইন্যান্স, ব্যাংকিং, ব্যবস্থাপনা কিংবা ব্যবসায় প্রশাসন বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে। ডিজিটাল ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী নিয়োগের ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা অধিক গুরুত্ব পাবে এমডি নিয়োগে। শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় বিভাগ বা শ্রেণি থাকতে পারবে না জানিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, গ্রেডিং পদ্ধতিতে এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার ক্ষেত্রে জিপিএ ৩.০০ এর কম এবং অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত সিজিপিএ এর ক্ষেত্রে ৪.০০ পয়েন্ট স্কেলে ২.৫০ এর কম ও ৫.০০ পয়েন্ট স্কেলে ৩.০০ এর কম হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।