দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: নকল স্ক্যানিং করা ব্যালট পেপার পাওয়াকে কেন্দ্র করে ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের দ্বিতীয় দিনের ভোটগ্রহণ বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সোয়া ১২টার দিকে ভোট স্থগিত করার পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ বিষয়ে বারের সাবেক কয়েকজন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে বৈঠকে বসেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৈঠকটি চলছে।

 

জানা গেছে, ভোট কারচুপির অভিযোগে সাময়িক ভোটগ্রহণ বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকবে। জরুরি বৈঠকে বসেছেন নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে সিনিয়র আইনজীবী মোখলেছুর রহমান বাদল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন। যার অধীনে ১০ জন কমিশনার এবং ১০০ জন সদস্য সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কাজ করছেন।

এ বিষয়ে বিএনপি সমর্থিত নীল দলের ট্রেজারার পদপ্রার্থী আব্দুর রশীদ মোল্লা বলেন, বেলা সোয়া ১২টার দিকে ভোট কেন্দ্রে এসে দেখি ব্যালট নিয়ে গেছে। এই ঘটনার পর এখন ভোটগ্রহণ বন্ধ রয়েছে।

নির্বাচনে বিএনপি-সমর্থিত নীল প্যানেল থেকে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন খোরশেদ মিয়া আর আওয়ামী লীগ-সমর্থিত সাদা প্যানেল থেকে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আবদুর রহমান হাওলাদার। একই প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন মো. আনোয়ার শাহাদাত। অপর দিকে বিএনপি-সমর্থিত নীল প্যানেল থেকে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন খোরশেদ মিয়া আলম। সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোখলেছুর রহমান। ২১ হাজার ১৩৭ জন আইনজীবী নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।