দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রাজধানীর ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন স্থানে রেস্টুরেন্টে অনিয়ম ও অবব্যবস্থপনার অভিযোগে ৩৫ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এর মধ্যে শুধু ধানমন্ডিতেই ১৫টি রেস্তোরাঁয় অনিয়ম ও অবব্যবস্থপনার অভিযোগে ১৯ জনকে আটক করা হয়েছে।তাদের মধ্যে রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাপকসহ কর্মীরাও রযেছেন।  

 

এছাড়াও অভিযানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আটক ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন, ধানমন্ডির হোয়াইট হল নামের রেস্তোরাঁর শামীম হোসেন তুহীন, ম্যারিটেজ ঢাকার খুরশীদ আলম, এ্যারিস্টোক্যাটের সাব্বির হোসেন, আদি কড়াই গোস্তের খালিদ হোসেন, দি লবি লাউঞ্জের মারুফ হোসেন, ইয়ামচা ডিস্ট্রিক্টের পুলক বিশ্বাস, ক্যাফে ডোলচের আশিক তালুকদার, ক্যাফে সাওপাওলোর শাহিন সারোয়ার, ক্যাপিট্যাল লাউঞ্জের রেদুয়ান আহম্মেদ, পার্ক এন্ড স্ট্রাটের্র মিজানুর রহমান, খানাজের শরিফুল ইসলাম, ক্যাফে ইউফোরিয়ার আল আমিন, টুইন পার্কের আল আমীন মোস্তফা তালুকদার, স্টার দেশীর মেহেদী হাসান, ডিকে-১৩ এর রাসেল পালমা, বেস্টার প্রের আমিনুল ইসলাম রিফাত, চা-টাইপের সামিত আলম সিয়াম, চয়ন হালদার ও বিবিকিউ’র সুমিত রায়। রোববার (৩ মার্চ) রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, রোববার রাত ১০টা পর্যন্ত ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের ৩৫ কর্মীকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকটি রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপকও রয়েছেন। এছাড়া যেসব রেস্তোরাঁয় ছোটখাট অনিয়ম পাওয়া গেছে তাদের মুচলেকা রেখে সতর্ক করা হয়।

ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, রাজধানীতে বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান চালানো হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন আছে কিনা, নিরাপদ স্থানে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করছে কিনা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটুকু, অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র এবং ঝুঁকির বিষয়টি দেখা হয়। এদিকে পুলিশের মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন থানার একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অভিযান অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে নিয়ম মেনে হোটেল-রেস্টুরেন্ট চালানো হচ্ছে কিনা সেই বিষয় অভিযানে গুরুত্ব পাচ্ছে। তবে আগে সেভাবে পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হয়নি। এ কারণে মাঠপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছেন।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে ভয়াবহ আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জন মারা গেছে। এর মধ্যে ৪৪ জনের লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি দুইজনের পরিচয় এখনো সনাক্ত হয়নি। সিআইডি এই দুইজনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছে। আগুনের ঘটনার প্রেক্ষিতে ভবন ও রেস্টুরেন্ট সংশ্লিষ্ট চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই অবহেলাজনিত দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে ভবন মালিকসহ দায়ীদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।