লাগাতার কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন নৌযান শ্রমিকরা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: লাগাতার কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিকরা। সোমবার (৪ মার্চ) দিনগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি বন্ধ ও ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস এবং সামাজিক নিরাপত্তাসহ ১১ দফা দাবিতে এ কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন তারা। রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে এক সংবাদ সম্মেলনে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা এ ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম বলেন, দেশের আমদানি ও রপ্তানি পণ্য পরিবহন অনেকাংশে নৌপরিবহনের ওপর নির্ভরশীল হওয়া সত্ত্বেও নৌযান শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন ও নিরাপত্তার বিষয়টি সব সময় উপেক্ষিত থেকেছে।
সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে দাবি মেনে নিয়ে কিছু কিছু কার্যকর করলেও বেশির ভাগ সিদ্ধান্তই অকার্যকর অবস্থায় উপেক্ষিত থেকে যায় বছরের পর বছর। এ জন্য ১১টি দাবি নিয়ে আমাদের এই কর্মবিরতির ঘোষণা।
সংবাদ সন্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহ আলম, সহসভাপতি সৈয়দ শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।
১১ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে নৌযান শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নাবিক কল্যাণ তহবিল ও ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে কন্টিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড গঠন, নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র-সার্ভিসবুক প্রদানের গৃহীত সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাস্তবায়ন এবং কর্মস্থলে ও দুর্ঘটনায় মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ; সব মালিক সমিতিকে এক প্ল্যাটফরমে এনে এককেন্দ্রিক সিরিয়াল মেনে চট্টগ্রাম বন্দরসহ সব বন্দর থেকে পণ্য পরিবহনে বাধ্য করা; মালিক সমিতিগুলোর সঙ্গে গেজেট-বহির্ভূত দ্বিপক্ষীয় চুক্তিভুক্ত অমীমাংসিত দাবিগুলো পুনর্নির্ধারণ করে চুক্তি সম্পাদন; চট্টগ্রাম বন্দরে নিরাপদে জাহাজ রাখার জন্য শঙ্খ নদীকে প্রতাশ্রয়ের উপযোগী করা, নদীর নাব্যতা রক্ষা, নৌপথ, নদী ও সব সমুদ্রবন্দরে পর্যাপ্তসংখ্যক মার্কা-বয়া-বাতি স্থাপন, চ্যানেলে জাল পাতা বন্ধ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পাইলট সরবরাহ নিশ্চিত করা; চট্টগ্রাম চরপাড়া-জালিয়াপাড়া পর্যন্ত নাবিকদের নিরাপদে ওঠানামার জন্য কমপক্ষে পাঁচটি ইজারামুক্ত ঘাট ও মেরিন ড্রাইভ ওয়ের ওপর চরপাড়া ও জালিয়াপাড়া এলাকায় দুটি উড়ালপথ ফুটওভার ব্রিজ স্থাপন।