খাদ্য পরিদর্শকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের তদন্তে দুদক
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাকিল আহমেদের (৩৯) বিরুদ্ধে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতা অপব্যবহার, প্রতারণা এবং এক কোটি ৭১ লাখ ৯২ হাজার ৩৮২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযুক্ত শাকিল আহমেদ ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার খাদ্য গুদামে (এলএসডি) দায়িত্বরত ছিলেন। তিনি ২০২১ সালের ৯ মার্চ থেকে ২০২৩ সালের ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত মুক্তাগাছায় দায়িত্ব পালন করেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর তাকে জামালপুরের সানন্দবাড়ী টিপিসি দেওয়ানগঞ্জের খাদ্য পরিদর্শক পদে বদলী করা হলেও তিনি যোগদান না করায় ১১ অক্টোবর ওই স্থানে আরেকজন কর্মকর্তা দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। অভিযুক্ত শাকিল ১৯ অক্টোবরের মধ্যে মুক্তাগাছা খাদ্য গুদামের দায়িত্ব হস্তান্তর করার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কর্মস্থলে উপস্থিত না হয়ে গা ঢাকা দেয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২২ অক্টোবর ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ২৫ অক্টোবর থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত শ্রমিকদের সহায়তায় এলএসডির ২৮টি খামাল ভেঙ্গে পুণরায় খামাল পুনর্গঠন করা হয় এবং ওজন বস্তা ও খালি বস্তা গুনে ২০ নভেম্বর প্রতিবেদন জমা দেয়।
প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দুদক দেখে যে, খামালের ভেতর এলএসডির রেকর্ড থেকে ৩ লাখ ২৮ হাজার ৯৮০ মেট্রিকটন সিদ্ধ চাল যার দাম এক কোটি ৭০ লাখ ৭২ হাজার ২৮২ টাকা, ৫০ কেজি ধারণক্ষমতার ৩৮০ খালি বস্তা যার দাম ৩০ হাজার ৪০০ টাকা, ৩০ কেজি ধারণক্ষমতার এক হাজার ৪৯৫ খালি বস্তা যার দাম ৮৯ হাজার ৭০০ টাকা, অর্থাৎ সর্বমোট এক কোটি ৭১ লাখ ৯২ হাজার ৩৮২ টাকার ঘাটতি পাওয়া যায়। উল্লেখ্য, মুক্তাগাছার উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রেবেকা সুলতানা রুবী ২০২৩ সালের ২১ নভেম্বর মামলা করেন, এরই পরিপ্রেক্ষিতে দুদক উপসহকারী পরিচালক আনিসুর রহমান ময়মনসিংহের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এজাহার করেন।
(দ্য রিপোর্ট/এসআর/মার্চ ৯, ২০২৪)