দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:  রমজান শুরুর আগে দেশে পেঁয়াজ নিয়ে একরকম হুলস্থূল কারবার হয়ে গেছে। রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়ে যায়। হঠাৎ পেঁয়াজের দামকমে অর্ধেকে নেমে আসে।

 

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) খানসামা খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, রোজার আগেও পেঁয়াজ ছিল ১০০ টাকা এবং তিন দিন আগেও পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এখন সেই পেঁয়াজ কমে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে দাম কমায় বেশ খুশি সাধারণ ক্রেতারা।

অবশেষে দেশে পেঁয়াজ আমদানির খবরে তিন দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের ঝাঁজ কমতে শুরু করেছে।মোকামগুলোতে সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ভারত থেকে আমদানি শুরু হলে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হবে বলে আশা করছেন তারা।

অন্যদিকে হঠাৎ সরবরাহ বৃদ্ধির ফলে দাম কমায় কেজি প্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের অনেকের।

এর আগে হঠাৎ অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণে ক্রেতারাও একরকম পেঁয়াজের বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। এতে পেঁয়াজ বিক্রি কমে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরাও দাম কমাতে বাধ্য হয়।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যবসায়ীদের যখন মন চাইল দাম বাড়াল, আবার যখন মন চেয়েছে তখন দাম কমাচ্ছে। এতেই প্রমাণ হয় দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজার চলছে ব্যবসায়ীদের ইচ্ছেমতো।

বাজারে সবজি কিনতে আসা সাজু বলেন, সব তরকারিতে পেঁয়াজের প্রচলন রয়েছে। এক সপ্তাহ আগেও ১০০ টাকা ছিল পেঁয়াজের দাম। আজকে ৫০ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনেছি। আমদানি বন্ধ হওয়ার পর থেকে পেঁয়াজের দাম দিন দিন বেড়েই চলছিল। কিন্তু এখন দেশীয় পেঁয়াজ উঠতে শুরু করায় দাম কমছে। আর আমদানি শুরু হলে আরও দাম কমতে পারে। বাজার মনিটরিং করলে সব ধরনের পণ্যের দাম সীমাবদ্ধতা থাকবে বলো জানান তিনি।

খানসামা বাজারের বিক্রেতা শাহীন বলেন, সরবরাহ বেশি থাকায় এখন দাম কম। আমরা মহাজনের কাছ থেকে কিনে প্রতি কেজি পেঁয়াজ পাঁচ থেকে ৭ টাকা লাভে বিক্রি করছি। এতে ক্রেতারা অনেক খুশি।