দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: শেষ ওভারে জয়ের জন্য ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের প্রয়োজন ছিল ৮ রান। প্রথম বলে ইমাদ ওয়াসিম এক রান নেওয়ার পর দ্বিতীয় বলেই চার মারেন নাসিম শাহ।

তৃতীয় ও চতুর্থ বলে এক রান করে আসার পর পঞ্চম বলে উইকেট হারান নাসিম।

শেষ বলে দরকার ছিল এক রান। টান টান উত্তেজনায় ব্যাট করতে নেমেচার মেরে জয় নিশ্চিত করলেন হুনাইন শাহ। ২ উইকেটের জয়ে উচ্ছ্বাসে ভাসলেন ইসলামাবাদের ক্রিকেটাররা। গতকাল রাতে পিএসএলের নাটকীয় এই ফাইনালে করাচি জাতীয় স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৫৯ রান সংগ্রহ করে মুলতান সুলতানস। জবাব দিতে গেয়ে শেষ বলে জয় নিশ্চিত করেন ইসলামাবাদ।

এ নিয়ে রেকর্ড তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো ইসলামাবাদ। পিএসলের প্রথম তিন আসরের দুটিতেই চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। অপরদিকে ২০২১ আসরের চ্যাম্পিয়ন ‍মুলতান পরের টানা তিনটি ফাইনালেই হেরে গেল। গত আসরে তারা শেষ বলে এক রানে হেরেছিল রান তাড়ায়, এবার শেষ বলে হারল রান বাঁচানোর চেষ্টায়।

ইয়াসির খানের বিদায়ে শুরু হয় মুলতানের ইনিংস। দ্বিতীয় ওভারে ৬ রানে উইকেট হারান এই ওপেনার। ব্যাট হাতে এদিন আলো ছড়াতে পারেননি মোহাম্মদ রিজওয়ানও। ২৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। আর তিনে নামা ডেভিড উইলি করেন ৬ রান। বাকিদের মধ্যে কেবল লড়ে যান উসমান খান ৪০ বলে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন তিনি। শেষদিকে ইফতিখার আহমেদের ব্যাট থেকে আসে ২০ বলে অপরাজিত ৩২ রানের ইনিংস।

ইসলামাবাদের হয়ে দারুণ বোলিং করেন ইমাদ। ৪ ওভারে স্রেফ ২৩ রান খরচায় তিনি নেন ৫ উইকেট। ৩২ রান খরচায় তিনটি উইকেট পান শাদাব খান।

রান তাড়ায় খেলতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ২৬ রান যোগ করার পর বিদায় নেন কলিন মুনরো। ১৭ রানে তার বিদায়ের পর তিনে ব্যাট করতে নেমে সুবিধে করতে পারেননি আঘা সালমান। তার ব্যাট থেকে আসে ১০ রান। এরপর আজম খানকে নিয়ে ৪৭ রানের দারুণ জুটি গড়েন ওপেনার মার্টিন গাপটিল। ৩০ বলে ফিফটি ছুঁয়ে তিনি বিদায় নিলে ভাঙে এই জুটি। আর আজম বিদায় নেন ৩০ রান করেই। শেষদিকে ম্যাচ মোড় নেয় নাটকীয়তায়।

ব্যাটিংয়ে ম্যাচ জেতানো অপরাজিত ১৯ রানের পাশাপাশি বোলিংয়ে ৫ উইকেট নেওয়ায় ম্যাচসেরা পুরস্কার পান ইমাদ ওয়াসিম। নাসিম শাহ অবশ্য ৯ বলে ১৭ রান করে রাখেন দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। আসরে ব্যাট হাতে ৩০৫ রান ও বল হাতে ১৪ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা হন শাদাব খান।