এনএসআইয়ের চাকরির দিতে চেয়েছিলেন সেরেস্তাদার, দুদকের মামলা
শামীম রিজভী,দ্য রিপোর্ট: ঢাকার অতিরিক্ত অর্থঋণ আদালত-২ এবং যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ অতিরিক্ত আদালতের সেরেস্তাদার শেখ আতাউর রহমানের (৫৭) বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ তদন্ত শেষে এই মামলা করেন।
তদন্তে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্ত শেখ আতাউর রহমান অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এনএসআই এর জুনিয়র ফিল্ড অফিসার পদে চাকরির কথা বলে মো. রায়হান নামক প্রার্থীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আসাদুল্লাহ দুদু ও মো. শাহিন মিয়া নামক দুই লোকের কাছ থেকে চাকরিপ্রার্থী রায়হান জানতে পারেন যে অভিযুক্ত শেখ আতাউর রহমানকে ১০ লাখ টাকা দিলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এনএসআই এর জুনিয়র ফিল্ড অফিসারের চাকরি ব্যবস্থা করে দিবেন।
পরবর্তী সময়ে রায়হান ২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর তিন লাখ টাকা আসাদুল্লাহ দুদু ও শাহিন মিয়ার মাধ্যমে অভিযুক্ত শেখ আতাউরের হাতে জমা দেন এবং তা গোপনে ভিডিও করে রাখেন। পরে ২০২০ সালের ২০ আগস্ট অভিযুক্ত শেখ আতাউর একটি এডমিট কার্ড দেন রায়হানকে। এডমিট কার্ড পাওয়ার পর একই বছর ১০ নভেম্বর অভিযুক্তের সাথে চুক্তি অনুযায়ী বাকি ৭ লাখ টাকা দিয়ে দেন রায়হান। এ সময় রায়হান তার শিক্ষা সনদের মূলকপিগুলো অভিযুক্তের কাছে জমা দেন। এডমিট কার্ড অনুযায়ী তার আগের বছর ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও সেটি চলে যাওয়ায় অভিযুক্ত বিভিন্ন তারিখ দিতে থাকেন।
পরবর্তী সময়ে রায়হান তার দেওয়া ১০ লাখ টাকা ও শিক্ষা সনদের মূলকপিগুলো অভিযুক্তের কাছ থেকে চাইলে, সেগুলো না দিয়ে উল্টো ভুক্তোভোগীকে হয়রানি করতে থাকেন। এরপর রায়হান অভিযোগ দায়ের করলে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মাদ শফিকুল ইসলাম প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা খুঁজে পান এবং ২০২৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, চাকরির লোভ দেখিয়ে মো. রায়হানের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন সেরেস্তাদার শেখ আতাউর রহমান (৫৭); যা কিনা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আদালতে দাখিল করা দুদকের প্রতিবেদনে এসব তথ্যের সত্যতা মিলেছে বলে উল্লেখ করা হয়। এবং মামলা রুজুর আবেদন করা হয়।
(দ্য রিপোর্ট/এসআর/টিআইএম/ ২৫ মার্চ , ২০২৪)