দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: পবিত্র রমজান মাসে চাহিদা কম থাকায় সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীতে সব ধরনের সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির কারণে দেশের বাজারে দাম কমেছে।সপ্তাহ ব্যবধানে বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যদিও মাছ ও মুরগির  বাজার অপরিবর্তিত রয়েছে।  

 

শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীরতালতলাবাজারঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।

এসববাজারঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজ দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত শুক্রবারও দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। পাইকারিবাজারেপেঁয়াজের দাম কমায় খুচরাবাজারেদাম কমেছে বলে জানালেন শেওড়াপাড়ার খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা ব্যবসায়ী আব্দুল রহমান। তিনি বলেন, দুইদিন আগেও আমরা পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। আজ দাম কমায় ৫০ টাকা দরে বিক্রি করছি। তবেবাজারেআলুর দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এসববাজারেগ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ৮০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়, শশা ৭০ টাকা, খিরাই ৬০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা এবং সজনে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, বাঁধা কপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, ব্রুকলি ৩০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং গাজর ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসববাজারেলেবুর হালি ২০ থেকে ৬০ টাকা, ধনেপাতা কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়,মিষ্টিকুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। এছাড়াবাজারগুলোতে লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৩০ টাকা, মূলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এসববাজারেব্রয়লার ব্রয়লার মুরগি থেকে ২০০ থেকে ২০৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।বাজারগুলোতে সোনালি ৩২০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৪০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসববাজারেগরুরমাংসকেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৫০ টাকা, গরুর মাথারমাংস৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ টাকা এবং খাসিরমাংসকেজি প্রতি ১০৫০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। শুক্রবারবাজারগুলোতে ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা, এক কেজি শিং মাছচাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা , মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৯০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১২০০ টাকা, বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, দেশি কই ১০০০ টাকা, মেনি মাছ ৭০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ১০০০টাকা,বেলে মাছ ৭০০ টাকা এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।