দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম টেস্টে শ্রীলংকার কোনো ব্যাটারই সেঞ্চুরি করতে পারেননি। তবে ৬ ব্যাটার তুলে নিয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। তাতে ৫৩১ রানে থামে শ্রীলংকা। জবাব দিতে নেমে শেষ বিকেলে দাপুটে ব্যাটিংয়ে ১ উইকেটে ৫৫ রান তুলে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে এখনো পিছিয়ে ৪৭৬ রানে।

 

শ্রীলংকার রান পাহাড়ের জবাবে শুরু থেকেই মারকুটে শট খেলেন দুই ওপেনার জাকির হাসান ও মাহমুদুল হাসান জয়। তবে ৪৭ রানের মাথায় লাহিরু কুমারার বলে সরাসরি বোল্ড হন জয় (২১)। তবে নাইটওয়াচম্যাচ হিসেবে নামা তাইজুল ইসলামকে নিয়ে দিনের বাকি সময়টুকু নির্বিঘ্নেই কাটিয়ে দেন আরেক ওপেনার জাকির হাসান (২৮)।

এর আগে ৬ ব্যাটারের হাফ সেঞ্চুরিতে ৫৩১ রানে থামে শ্রীলংকা। সেঞ্চুরির কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন দিমুথ করুনারত্মে (৮৬), কুশল মেন্ডিস (৯৩) ও ও কামিন্দু মেন্ডিস (৯২)। হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন নিশান মাদুশকা, দিনেশ চান্ডিমাল আর ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাও। কোনো খেলোয়াড়ের সেঞ্চুরি ছাড়া শ্রীলংকার ৫৩১ রানই টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ ইনিংস। দলটি ভাঙল ৪৮ বছরের পুরোনো রেকর্ড। এর আগে এই রেকর্ড ছিল ভারতের দখলে। ১৯৭৬ সালের নভেম্বরে কানপুর টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারত ৯ উইকেটে ৫২৪ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে। সেবারও কেউ সেঞ্চুরি পাননি।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগের দিনের ৪ উইকেটে ৩১৪ রান নিয়ে নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা লংকানরা এদিন কোনো উইকেট না হারিয়েই তুলে ফেলে ৩৭৫ রান। অবশেষে সাকিব আল হাসানের আঘাতে ভাঙে দিনেশ চান্ডিমাল ও ধনাঞ্জয়ার ৮৬ রানের জুটি। ফিফটি পার করার পর ৫৯ রানে থেমেছেন চান্ডিমাল। ৫ উইকেটে ৪১১ রান নিয়ে মধ্যাহ্ণ বিরতিতে যায় শ্রীলংকা।

দ্বিতীয় সেশনে খেলতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় তারা। ওই রানেই অধিনায়ক ধনাঞ্জায়াকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন খালেদ। এরপর কামিন্দুর সঙ্গে জুটি বাঁধেন প্রভাত জয়াসুরিয়া। দিনের দ্বিতীয় সেশনে আরও একটি উইকেট হারায় লংকানরা। ৪৭৬ রানের মাথায় প্রভাতকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে ফেরান সাকিব। এই রান নিয়েই চা বিরতিতে যায় ৭ উইকেট হারানো শ্রীলংকা। তবে অন্য পাশে উইকেট পরলেও কামিন্দু ছিলেন অবিচল। তৃতীয় সেশনের শুরুতে শান্তর দুর্দান্ত এক থ্রোয়ে ফেরেন বিশ্ব ফার্নান্দো। ৪৯৭ রানে ৮ উইকেট হারানো শ্রীলংকা তাদের নবম উইকেট হারায় ৫১৮ রানে। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে বড় শট খেলতে দিয়ে বোল্ড হন লাহিরু কুমরা। শেষের দিকে তাইজুল ইসলামের এক ওভারে ২টি ছক্কা মেরে সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিলেন কামিন্দু। তবে নন স্ট্রাইকে থাকা আসিথা ফার্নান্দো উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে আসলে রান আউট করে দেন তাইজুল। ৫৩১ রানে থামে শ্রীলংকা।

৩৭ ওভারে ১১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার এই টেস্টেই দীর্ঘ প্রায় এক বছর পর দলে ফেরা সাকিব আল হাসান। ২টি উইকেট নিয়েছেন অভিষিক্ত বোলার হাসান মাহমুদ। ১টি উইকেট খালেদ আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজের। তবে ১ উইকেট পেতে মিরাজকে ৪৬ ওভারে দিতে হয়েছে ১৪৬ রান।