দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঈদযাত্রার আগাম টিকেট বিক্রি শুরু করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন বা বিআরটিসি। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থাটি ঈদ ঘিরে চালু করতে যাচ্ছে বিশেষ সার্ভিস। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিআরটিসির বিভিন্ন কাউন্টার থেকে ঈদের আগাম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন করপোরেশনের এক কর্মকর্তা।

 

সিটি সার্ভিসের জন্য সীমিত সংখ্যক বাস রেখে বাকিগুলো ঈদযাত্রায় নামানোর পরিকল্পনা করছে সরকারি এ সংস্থাটি। আর ভাড়া নেয়া হবে সরকার নির্ধারিত হারে।

বিআরটিএর চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বলেছেন, ঈদে বাড়তি ভাড়া নেওয়া ঠেকাতে, মাঠে থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান বলছেন, এবার ঈদাযাত্রায় অন্য বারের তুলনায় বেশী বাস নামানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। বাড়ানো হচ্ছে বাসের ট্রিপও।

আর যাত্রী চাপ মোকাবেলায় প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন জেলায় গাড়ি সরবরাহ করবে বিআরটিসি। রাজধানীতে চলা বেশিরভাগ বাসই পাঠানো হবে দুরপাল্লায়।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পাঁচ এপ্রিল শুরু হবে বিআরটিসির ঈদ স্পেশাল সার্ভিস, চলবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত।

কোন ডিপোতে কোন রুটের টিকেট

ঢাকার মতিঝিল, জোয়ারসাহারা, কল্যাণপুর, গাবতলী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ বাস ডিপো (চাষাড়া) থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মতিঝিল বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে রংপুর, বগুড়া, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট।

কল্যাণপুর বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে আরিচা, পাটুরিয়া, ভাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, বরিশাল।

গাবতলী ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে রংপুর, বরিশাল, খুলনা, গোপালগঞ্জ, পাটুরিয়া।

জোয়ারসাহারা বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণ থাকবে রংপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নওগাঁ, বরিশাল, বগুড়া।

মিরপুর বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে রংপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, মাওয়া, পাটুরিয়া, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গোপালগঞ্জ, ভাটিয়াপাড়া, ময়মনসিংহ।

মোহাম্মদপুর বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, নওগাঁ, বগুড়া, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, পাটুরিয়া, বরিশাল, গোপালগঞ্জ।

গাজীপুর বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে ময়মনসিংহ, রংপুর, পাবনা, বগুড়া, খুলনা, ঠাকুরগাঁ ও কুড়িগ্রাম।

যাত্রাবাড়ি বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রাম, ভাঙ্গা, ফরিদপুর, বরিশাল।

নারায়ণগঞ্জ বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে রংপুর, কুষ্টিয়া, জামালপুর, নওগাঁ, গোপালগঞ্জ, মাদারিপুর, রাজশাহী, ভাঙ্গা, নেত্রকোণা।

কুমিল্লা বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে সিলেট, সুনামগঞ্জ।

নরসিংদী বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে স্বরুপকাঠি, রংপুর, নওগাঁ, কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, বগুড়া।

সিলেট বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে ময়মনসিংহ, রংপুর, লক্ষ্মীপুর রুটের বাস।

দিনাজপুর বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে ঢাকা-দিনাজপুর।

সোনাপুর বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে রংপুর, বরিশাল, ময়মনসিংহ।

বগুড়া বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে যশোর, রংপুর, বরিশাল।

রংপুর বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে পঞ্চগড়, রংপুর, লালমনিরহাট, নারায়ণগঞ্জ, পিরোজপুর।

খুলনা বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে রংপুর, কিশোরগঞ্জ, ঢাকা।

পাবনা বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে গাজীপুর, কুষ্টিয়া, ঢাকা।

ময়মনসিংহ বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে গাইবান্ধা (সুন্দরগঞ্জ), ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, শেরপুর, ঘাটাইল, সিলেট, ঢাকা।

চট্টগ্রাম বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে রংপুর, বরিশাল, ভোলা।

টুঙ্গীপাড়া বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে ঢাকা, চিলমারি, পাটগাতি।

বরিশাল বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে থাকবে ঢাকা, রংপুর, কুয়াকাটা রুটের বাস।