দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বান্দরবানে সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী কেএনএফের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলছেই। এবার আলীকদম উপজেলায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি যৌথ তল্লাশি চৌকিতে হামলা চালিয়েছে তারা। তবে পাল্টা প্রতিরোধে টিকতে না পেরে পালিয়ে গেছে কেএনএফের সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

 

সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে বান্দরবানের কয়েকটি উপজেলায় বিশেষ করে থানচিতে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানকার রাস্তাঘাট, বাজার হয়ে গেছে জনমানবশূন্য।

থানচিতে কোনোও দোকানপাট খোলেনি। পুরো এলাকাজুড়ে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে থানচি বাজারে পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে গোলাগুলিতে টিকতে না পেরে পালাতে শুরু করে সন্ত্রাসীরা।

থানচি-আলীদকম সড়কের ২৬ মাইল এলাকা দিয়ে গাড়ি করে যাওয়ার সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি যৌথ চেকপোস্টে বাধা পেয়ে সেখানে গুলি চালায় তারা।

আলীকদম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার তবিদুর রহমান বলেন, রাত পৌনে একটার চেকপোস্টে তল্লাশির জন্য একটি গাড়িকে থামার সংকেত দেয়া হয়। কিন্তু গাড়িটি না থেকে চেকপোস্ট ভেঙে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে।

‘বাধা পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। এরপর পুলিশ ও সেনা সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। শেষমেশ ধোপে টিকতে না পেরে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা,’ বলেন তিনি।

এর আগে থানচি বাজারে পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে কেএনএফ সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়। সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় যৌথ বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে বাধা পায় তারা।

কেএনএফের সঙ্গে র‌্যাবের মধ্যস্থতায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে রুমার সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধার করা হয়। আটটার দিকে তাকে র‍্যাব ক্যাম্পে আনা হয়।

এরপর হঠাৎ করে থানচি বাজার ঘিরে ফেলে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। থানচি বাজার ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় ব্যাপক গুলি চালাতে থাকে তারা।

গুলির শব্দে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে দিগ্বিদিক ছুটতে থাকে। মুহুর্মুহু গুলির শব্দে দিশেহারা মানুষ, যেদিকে পারে সেদিকেই ছুটতে শুরু করে।

এক পর্যায়ে কেএনএফ সদস্যরা থানচি থানায় হামলা চালায়। এ সময় বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা যৌথভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। শুরু হয় গুলি, পাল্টা গুলি। বিজিবি-পুলিশের সঙ্গে টিকতে না পেরে পালাতে থাকে কেএনএফ সদস্যরা।