দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: থানায় হামলার পরদিন থমথমে বান্দরবানের থানচি এলাকা। কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যরা আবারো হামলা চালাতে পারে এমন আশঙ্কায় এলাকার নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সতর্ক অবস্থায় রয়েছে পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। 

 

র‍্যাব জানিয়েছে, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে রুমা ও থানচিতে যৌথভাবে সাঁড়াশি অভিযান চলছে।

‘গোয়েন্দা তথ্য বলছে, কেএনএফ সদস্যরা থানার এক থেকে ২ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে অবস্থান করছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা সজাগ আছেন। সেনাবাহিনীকে এলাকার সড়কে টহল দিতে দেখা গেছে। পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরাও টহল দিচ্ছেন। এলাকার পরিস্থিতি এখন থমথমে। বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ। মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। গাড়িঘোড়াও সড়কে নেই বললেই চলে।’

র‍্যাব মুখপাত্র খন্দককার আল মঈন সকালে এক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, লুট হওয়া অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে। সশস্ত্র গোষ্ঠী কেএনএফের সদস্যদের আটক করতে সর্বাত্মক কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে।

গত মঙ্গলবার রাতে তারাবি নামাজের সময় বান্দরবানের রুমা শাখা সোনালী ব্যাংক ও আশেপাশের এলাকা ঘিরে ফেলে শতাধিক সশস্ত্র দুর্বৃত্ত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মসজিদ থেকে ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে ধরে নিয়ে ব্যাংকের ভেতরে মারধর করে তারা। পরে তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এ সময় ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ১০ পুলিশ ও ৪ আনসার সদস্যকে নিরস্ত্র করে ৮টি চাইনিজ অটোমেটিক রাইফেল, ২টি এসএমজি, ৪টি শটগান ও ৪১৫ রাউন্ড গুলি ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ সময় ২ পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনার ১৬ ঘণ্টা পর থানচিতে আরও দুটি ব্যাংকে ডাকাতি হয়।

বৃহস্পতিবার রাতে অপহৃত সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিনকে রুমা বাজার থেকে উদ্ধার করে র্যাব। এর পরপরই থানচি থানা থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনেন স্থানীয়রা। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই গোলাগুলি চলে।

স্থানীয়রা বলছেন, থানচি থানার পাশে প্রথম গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। পরে তা থানচি বাজারের কাছে চলে আসে। এ সময় সশস্ত্র গোষ্ঠি কেএনএফের সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের গুলি বিনিময় হয়। পুলিশ জানিয়েছে, থানায় হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে তারা প্রায় ৫০০ রাউন্ড গুলি ছুঁড়েছে।

এর রেশ কাটতে না কাটতেই মধ্যরাতে আলীকদমের ২৬ মাইল ডিম পাহাড় এলাকায় যৌথবাহিনীর চেক পোস্টে হামলা হয়। সবগুলো ঘটনার সঙ্গেই কেএনএফ জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে।