দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:  রেলপথে যাত্রীর চাপে যেকোনো বিপর্যয় এড়াতে কমলাপুর রেলস্টেশনে ঢুকতে কড়াকড়ি আরোপ করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। টিকিট ব্যতীত কেউ ঢুকতে না পারায় স্বস্তিতে স্টেশনে ঢুকতে ও ট্রেনে উঠতে পারছেন যাত্রীরা।

 

 

ঈদযাত্রার চতুর্থ দিনে গত ২৭ মার্চ যে-সব যাত্রী অগ্রিম টিকিট পেয়েছেন তারাই আজ কমলাপুর থেকে যাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে।

শনিবার (৬ এপ্রিল) কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে যথাসময়ে ট্রেন ছাড়ায় ঘরমুখো মানুষের মধ্যে দেখা গেছে স্বস্তির ছাপ। ভোর ৬টা থেকে বেলা পৌনে ১১টা পর্যন্ত কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ১৫টি ট্রেন ছেড়ে গেছে।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শাহাদাৎ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আজ কোনো শিডিউল বিপর্যয় কিংবা ট্রেন বিলম্বের ঘটনা ঘটেনি। ভোর থেকে এ পর্যন্ত ১৫টি ট্রেন যথাসময়ে ছেড়ে গেছে। ট্রেনগুলোর মধ্যে কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ২০ মিনিট দেরিতে ছেড়ে গেলেও বাকি সব যথাসময়ে ছেড়েছে।

শনিবার আন্তঃনগর ৪২ ও লোকাল-কমিউটার ২৫টি ট্রেন কমলাপুর রেলস্টেশন ছেড়ে যাবে। সকাল ১০টায় জামালপুর এক্সপ্রেস ও ১০টা ১৫ মিনিটে একতা এক্সপ্রেস ছেড়ে গেছে।

অন্যদিকে সকাল সাড়ে ১০টায় কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে সিলেটের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, বেলা সাড়ে ১১টায় তারাকান্দির উদ্দেশে ছেড়ে যাবে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ও বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে খুলনার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস।

কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে দেখা যায়, স্টেশনে প্রবেশের জন্য করা হয়েছে আলাদা গেট। বাঁশ দিয়ে নির্মাণ করা এসব অস্থায়ী গেটের সামনে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করছেন রেলওয়ের নির্ধারিত কর্মকর্তারা। সেখানেই ঈদযাত্রার জন্য স্টেশনে আসা যাত্রীর টিকিট চেক করে ভেতরে প্রবেশ করানো হচ্ছে।

তবে টিকিট ছাড়া ভেতরে কেউ প্রবেশ করতে পারছেন না। এদিকে ভেতরে প্রবেশ করেও টিকিট স্ক্যান করে যাত্রা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

এখন পর্যন্ত ঈদযাত্রার ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় না থাকায় অভিযোগ নেই যাত্রীদের। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আসছে সব ট্রেন। সব মিলিয়ে এবারের ঈদযাত্রায় এখনও ট্রেন নিয়ে অভিযোগ নেই যাত্রীদের।

প্রসঙ্গত, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৫ মার্চ ও ৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৬ মার্চ। ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৭ এপ্রিলের টিকিট ২৮ মার্চ, ৮ এপ্রিলের টিকিট ২৯ মার্চ ও ৯ এপ্রিলের টিকিট ৩০ মার্চ বিক্রি করা হয়েছে।

এছাড়া চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে। যাত্রীদের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।