"কুকিচিনের সশস্ত্র তৎপরতা বিচ্ছিন্ন ঘটনা, সরকার এ নিয়ে অত্যন্ত সতর্ক"
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: পাহাড়ে কুকিচিনের সশস্ত্র তৎপরতা বিচ্ছিন্ন ঘটনা, সরকার এ নিয়ে অত্যন্ত সতর্ক ও শক্ত অবস্থান নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (৭ এপ্রিল) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওই এলাকা ঘুরে এসেছেন। যৌথ অভিযান চলছে। বিএনপি ব্যর্থতা ঢাকতে ইস্যু খোঁজে। মিয়ানমার ইস্যুতে ব্যর্থ এখন কুকিচিন ইস্যু। এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এর দ্বারা গোটা পাহাড়ের সার্বিক শান্তি পরিস্থিতিতে ইমপ্যাক্ট পড়বে না। কাজেই এটা নিয়ে নতুন ইস্যু খোঁজাও ব্যর্থ হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির আন্দোলন করার সামর্থ্য নেই। শক্তি সামর্থ্য সবই তারা হারিয়ে ফেলেছে। নেতাকর্মীরা দলটির নেতৃত্বের ওপর হতাশ। তারেকের ওপর হতাশ। তাদের নেতা দেশে নেই, রিমোট কন্ট্রোলে আন্দোলন হবে? এটা কি সম্ভব! আন্দোলন করতে হলে রাজপথে এসে করতে হবে। রিমোট কন্ট্রোলের ডাকে জনগণ সাড়া দেবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থার জন্য বিএনপিই দায়ী। একটা রাজনৈতিক দল যারা তাকে দেশনেত্রী বলেন তাকে মুক্তির জন্য মির্জা ফখরুল কি আন্দোলন করেছেন? পাঁচশ লোকের একটা মিছিলও করতে পারেননি। আইনি লড়াইয়ে আদালত উপেক্ষা করে বার বার সময় ক্ষেপণ করেছেন। এটা না করলে বিষয়টা অনেক আগেই সেটেল হয়ে যেত। বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ। বেগম জিয়ার আইনি লড়াইয়েও ব্যর্থ। তাদের এখন চোখের পানি,কান্না, দীর্ঘশ্বাস - এগুলো সম্বল। আসন্ন উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রার্থিতা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন উন্মুক্ত মানে উন্মুক্ত পরিবেশে নির্বাচন করার ইচ্ছা, বাসনা অনেকেরই থাকতে পারে। আমাদের বক্তব্য এমপি সাহেবরা বা মন্ত্রী মহোদয়রা কোথাও কোনো প্রভাব বিস্তার করবেন না। প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকবে। প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেউ হস্তক্ষেপ করলে তা যেন সফল করতে না পারে। আর প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর কেউ দলীয় নির্দেশ অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।