দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিএনপির কতজন নেতাকর্মী কারাবন্দি আছে দলের মহাসচিবকে সে তালিকা দিতে বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

 

সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি মির্জা ফখরুল ইসলামকে চ্যালেঞ্জ করছি। ছিল (কারাবন্দি) ২০ হাজার। হয়ে গেল ৬০ লাখ! অবিলম্বে ৬০ লাখ বন্দির তালিকা প্রকাশ করুন। না হয় মিথ্যাচারের জন্য জাতির কাছে মির্জা ফখরুলকে ক্ষমা চাইতে হবে। ১৭ এপ্রিল মুজিব নগর দিবস। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ দিবস, সেই দিনটিকে তারা অস্বীকার করে। ১০ এপ্রিল প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার গঠন হয় সেটা অস্বীকার করে। স্বাধিকার আন্দোলনের মাইলফলক ৭ জুন অস্বীকার করে। বিএনপির কাছ থেকে বাঙালি সংস্কৃতির চেতনা নিয়ে ইতিবাচক রাজনীতি করবে এটা আমি বিশ্বাস করি না। দেশের স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য বিএনপির জন্ম মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা দেশের অস্তিত্বের মূলে আঘাত করতে চায়। একাত্তরে তাদের যে ভূমিকা, হঠাৎ করে বাঁশিতে ফুঁ দিয়ে এমনিই তিনি ঘোষক হয়ে গেলেন। ২৪ বছরের যে আন্দোলন এসবের কোনো দাম নেই। ৭১ সালে তাদের যে ভূমিকা সবাই জানে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা বলেছিল, তাদের (বিরোধী দল) আন্তর্জাতিক মিত্ররাতাদের সঙ্গে সলা-পরামর্শ করে, এ সরকার ক্ষমতায় বসলেও দুর্ভিক্ষে এ সরকারের পতন হবে। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন ইস্যুতে অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না। শান্তি চাই। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে রমজানে সরকারের যে কার্যক্রম চলমান ছিল তা অব্যাহত থাকবে কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যতদিন জনগণের প্রয়োজন থাকবে। ততদিন জনস্বার্থে এ প্রোগ্রাম থাকবে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বি এম মোজাম্মেল হক, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।