সয়াবিন তেলের দাম কমানোর সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, সয়াবিন তেলের দাম সমন্বয় করা হবে। তবে সয়াবিন তেলের পূর্বের দামে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। ট্যারিফ কমিশন কাজ করছে। সমন্বয় করে যৌক্তিক দামে মূল্য নির্ধারণ করবে সরকার। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
১৮টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যাতে স্থিতিশীল থাকে সেজন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাজ করছে বলে জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, যেকোনো পণ্যের দাম নির্ধারণে সরকার ব্যবসায়ীদের পক্ষে না বরং সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই নির্ধারণ করবে।
আহসানুল ইসলাম বলেন, সরকার দু-এক মাসের মধ্যে টিসিবির দোকানগুলোকে স্থায়ী দোকান করার পরিকল্পনা করছে। এর মধ্যে তালিকাও হালনাগাদ করা হবে। এর আগে গতকাল সোমবার ভ্যাট ছাড়ের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেন মিল মালিকেরা। তেলের দাম বাড়াতে বাণিজ্যসচিবকে চিঠি দেয় মিল মালিকদের সংগঠন বনস্পতি। সংগঠনের নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম মোল্লা স্বাক্ষরিত চিঠিতে বোতলজাত ১ লিটার সয়াবিন তেলের দাম প্রস্তাব করা হয় ১৭৩ টাকা, ৫ লিটার ৮৪৫ টাকা এবং খোলা ১ লিটার পাম তেলের দাম প্রস্তাব করা হয় ১৩২ টাকা।
রমজানে নিত্যপণ্যের দাম কমাতে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভোজ্যতেলের স্থানীয় উৎপাদনে ও আমদানি পর্যায়ের ভ্যাট ৫ শতাংশ কমায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট ছাড়ের এ মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় ১৫ এপ্রিল। মেয়াদ শেষ হওয়ায় তেলের দাম আগের অবস্থায় নেওয়ার প্রস্তাব করেছেন মিল মালিকেরা। এদিকে ট্যারিফ কমিশন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভোজ্যতেলে ভ্যাট ছাড় সুবিধা অব্যাহত রাখতে এনবিআরকে চিঠি দেয়া হয়েছে।