দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসে হামালার জবাবে প্রথম বারের মত নিজ ভূখণ্ড থেকে ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে ইরান। এই নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার পর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল।

 

ইরানি হামলার পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনার জন্য গত সোমবার(১৫ এপ্রিল) দ্বিতীয় দফায় ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বিভিন্ন সূত্রের বরাতে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম গুলো বলছে, ইরানে শিগগিরই পাল্টা হামলা চালানোর বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। এই সিদ্ধান্তের পর এখন জল্পনা শুরু হয়েছে কীভাবে হামলার জবাব দেবেন নেতানিয়াহু?

এই অবস্থায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করতে পারে ইসরায়েল, এমন আশঙ্কার কথাই জানিয়েছেন জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ প্রধান। এদিকে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি বলেছেন, ইরান ‘নিরাপত্তা বিবেচনায়’ রোববার তার পারমাণবিক স্থাপনাগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল এবং সোমবার কয়েকটি আবার চালু হলেও যতক্ষণ পরিস্থিতি সম্পূর্ণ শান্ত না হচ্ছে, ততক্ষণ তিনি আইএইএ পরিদর্শকদের সেখান থেকে দূরে রাখছেন।

সাদ্দাম হোসেন ক্ষমতায় থাকা কালে ১৯৮১ সালে ইরাকের ওসিরাক পারমাণবিক চুল্লিতে হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্র ওই হামলার বিরোধিতা করলেও তাতে কর্ণপাত করেনি ইসরায়েল সরকার। ২০১৮ সালে ইসরায়েল স্বীকার করেছে, ১১ বছর আগে সিরিয়ার একটি পারমাণবিক চুল্লিতে বিমান হামলা চালিয়েছিল তারা। এছাড়াও ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে ‘স্টাক্সনেট’ নামের কম্পিউটার ভাইরাস ছড়িয়ে দিয়ে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ যন্ত্র ‘নিউক্লিয়ার সেন্ট্রিফিউজ’ ধ্বংস করেছিল ইসরায়েল। পরবর্তীতে এই ভাইরাস বিশ্বব্যাপী সাধারণ কম্পিউটারেও ছড়িয়ে পড়ে।