পতনের ধারা থেকে সরানো যাচ্ছে না পুঁজিবাজারকে
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: পতনের ধারা থেকে সরানো যাচ্ছে না দেশের পুঁজিবাজারকে। পতনের মধ্য দিয়ে আরও একটি সপ্তাহ শুরু করেছে পুঁজিবাজার।ঈদের আগে প্রায় আড়াই মাসের লাগাতার দরপতনে লাখ কোটি টাকার বেশি বাজার মূলধন কমে যায়। ঈদের ছুটি শেষেও পতনের এই প্রবণতা ধারাবাহিক চলতে থাকার কারণে পুঁজিবাজার ক্রমশ অস্থিতিশীল হয়ে পড়ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিনিয়োগকারী। প্রতিনিয়ত কমছে বাজার মূলধন। নিস্তেজ হয়ে পড়ছে ক্রেতাশূন্য পুঁজিবাজার। আস্থা হারাচ্ছে পুঁজিবাজার।
ঈদের পর টানা দরপতনের পেছনে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যবর্তী সংঘর্ষের বিষয়টি আলোচনায় এনেছেন বাজারসংশ্লিষ্ট অনেকে। যদিও দেশ দুটির দ্বন্দ্বের সরাসরি প্রভাব বাংলাদেশে নেই। তবে মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব রয়েছে বলে দাবি করছেন তাঁরা।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে বর্তমানে পুঁজিবাজারে একটি সংকটের অস্তিত্ব প্রকট। সেটি হলো তারল্যসংকট। এটিই পুঁজিবাজারের ধারাবাহিক পতনকে ত্বরান্বিত করছে। সুদের হার বেশি হওয়ায় প্রাতিষ্ঠানিক ও বড় বিনিয়োগকারীরা সরকারি ট্রেজারি বিল, বন্ডে বিনিয়োগ করছেন। ব্যক্তিশ্রেণির বড় বিনিয়োগকারীরা এফডিআরে যাচ্ছেন। আজ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের বড় পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন সূচকের সাথে কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর ও টাকার পরিমাণে লেনদেন। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৩২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৬৫৩ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৩৮ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯৮২ পয়েন্টে।
দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৩ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৭৫ টির, দর কমেছে ২৮৫ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩ টির। ডিএসইতে ৪৭৮ কোটি ২৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৪৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা কম। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫২২ কোটি ৫১ লাখ টাকার। অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১১৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ১২৫ পয়েন্টে। সিএসইতে ২১৯ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩২টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৬৮ টির এবং ১৯ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১৭ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।