আমি এখানে কাজ শুরু করতে মুখিয়ে আছি: মুশতাক
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আগের রাতে বাংলাদেশে পৌঁছে মঙ্গলবার সাতসকালেই মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে হাজির বাংলাদেশের নতুন স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ। পাকিস্তান ক্রিকেটের কিংবদন্তি ও সাবেক বিশ্বকাপজয়ী খেলোয়াড় এর আগে অনেকবারই বাংলাদেশে এসেছেন। এবারের আসাটা সম্পূর্ণরূপে ভিন্ন।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের অংশ হতে তার আগমণ। তাইতো বাড়তি আতিথেয়তাও পেয়েছেন। বিমানবন্দরে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। আজ ড্রেসিংরুমে টিম জার্সি তুলে দেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের সহকারী ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফিস। এরপর কোচিং স্টাফদের বাকিদের নিয়ে করেছেন আলোচনা। সঙ্গে নিজের চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন।
এরপর মিরপুরের সবুজ গালিচায় পায়চারি করে নিজের ভাবনার জগতে ঢুকে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি। বিসিবির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এরপর সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মুশতাক আহমেদ। কি বললেন তিনি? এক নজরে দেখে নেওয়া যাক-
বাংলাদেশে ফিরে কেমন লাগছে?
মুশতাক আহমেদ:বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে পেরে সম্মানিতবোধ করছি। আমি এখানে কাজ শুরু করতে মুখিয়ে আছি।
অনেক দিন পর বাংলাদেশে এলেন?
মুশতাক আহমেদ:বাংলাদেশে আসতে সব সময়ই ভালো লাগে। আমার মনে আছে ৯২’র বিশ্বকাপের পর ৯৩-৯৪ সালে আমি বাংলাদেশে এসে খেলেছিলাম। এখানে যারা স্থানীয় আছেন তারা পাকিস্তান ক্রিকেটের অনেক বড় সমর্থক। সাথে পাকিস্তানের মানুষকেও পছন্দ করে। আমাদের ক্ষেত্রেও তাই। আমরা এখানে এসে ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করি। এখানের আতিথেয়তা দারুণ। খাবার পছন্দ করি। সব মিলিয়ে অসাধারণ। মনে হয় ১৯৯৮ সালে আমি সবশেষ খেলোয়াড় হিসেবে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলাম।
নিশ্চয়ই কোনো পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশের দায়িত্ব নিয়েছেন?
মুশতাক আহমেদ:এখানের কন্ডিশন সম্পূর্ণভাবে আলাদা। তাই মানিয়ে নিতে ও ক্রিকেট বুঝতে ক্রিকেটারদের সময় দিতে হবে। এটা আমার জন্যও ভিন্ন অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে। এখানে এসে মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ হচ্ছে। তারা প্রত্যেকে হৃদয়বান। কোচ হিসেবে বলতে পারি এখানে এসে নিজের মান উচুঁতে রাখতে হবে।
আপনার প্রত্যাশা কি রকম?
মুশতাক আহমেদ:কোচ হিসেবে আমাকে আগে নিজেকে বিশ্বাস করতে হবে। আমি এখানে পার্থক্য তৈরি করতে এসেছি। আশা করছি আমি সেই পার্থক্য তৈরি করতে পারব। স্পিন বিভাগে বিশেষ করে। সঙ্গে ক্রিকেটে আমার যে অভিজ্ঞতা তা ছড়িয়ে দিতে আমি তরুণ এবং সিনিয়র ক্রিকেটারদের কাজে আসতে পারি। আশা করছি আমরা ভিন্ন কিছু তৈরি করতে পারব। আমি বিশ্বাস করি যারা শিখতে আগ্রহী তাদের নিয়ে কাজ করেও আনন্দ আছে। তরুণ ক্রিকেটাররা বেশ প্রতিশ্রুতিশীল। আমি বিশ্বাস করি তারা ভালো করবে এবং তারা যে কোনো দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারি।
লেগ স্পিনার খুঁজে পাওয়ার কাজটা কঠিন?
মুশতাক আহমেদ:কেন পাবো না? (লেগ স্পিনার)। এশিয়ান ক্রিকেটে আপনি সব সময়ই ক্লাব ক্রিকেট পাচ্ছেন। নেট বোলার পাচ্ছেন। লেগ স্পিনার, চায়নাম্যান স্পিনার রয়েছে। স্থানীয় কোচদের তাদের বের করার দায়িত্বটা নিতে হবে। এজন্য আমাদের তাদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলতে হবে। এখানে আমার অভিজ্ঞতা কাজে আসবে। আমি তাদের সঙ্গে নিশ্চিতভাবেই কথা বলবো।
বিসিবি, প্রথম শ্রেণির কোচ এবং ক্লাব কোচদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারি। আমরা যদি একজন চায়নাম্যান স্পিনার বা লেগ স্পিনার খুঁজে পেতে পারি...এখন ওয়ানডে ক্রিকেটে লেগ স্পিনার খুবই প্রয়োজনীয়। আপনাকে মধ্য ওভারগুলোতে রান আটকে উইকেট নিতে হবে। এজন্য আপনার বৈচিত্র্যপূর্ণ স্পিনার প্রয়োজন। আশা করছি আমরা সেই কাজটা করতে পারব।
আমাদের জন্য প্রার্থনা করুন। আমাকে যে সামর্থ্য ও শক্তি সৃষ্টিকর্তা দিয়েছেন তা যেন এই ছেলেদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে পারি।