দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্তি পাওয়া ‘এমভি আবদুল্লাহ’ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দর ত্যাগ করেছে। জাহাজটি দুবাইয়ের মিনা সাকার নামে আরেকটি বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে দেশের উদ্দেশে রওয়ানা হবে।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করে কেএসআরএম গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম জানান, শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুবাইয়ের আল-হামরিয়া বন্দর থেকে জেটি থাকা এমভি আবদুল্লাহতে পণ্য বোঝাই শেষে রাত ৮টার দিকে কাছাকাছি দূরত্বের মিনা সাকার বন্দরের পথে রওনা হয়েছে।

সেখানে আরও কিছু পণ্য তোলার পর মিনা সাকার থেকে রোববার (২৮ এপ্রিল) দেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে জাহাজটি দেশে ফিরবে বলে জানান তিনি।

এর আগে এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের জেটিতে মোজাম্বিক থেকে আনা কয়লা খালাস করে। তার আগে ২২ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে ভেড়ে এমভি আবদুল্লাহ। তখন সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফরসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাহাজ পরিচালনাকারী এসআর শিপিংয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ২১ এপ্রিল এমভি আবদুল্লাহ ওই বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়। গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে জলদস্যুর কবলে পড়ে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। দেশটির উপকূল থেকে ৫৭৬ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগর থেকে নাবিকদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে দস্যুদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় নিয়ে যেতে বাধ্য করে। একপর্যায়ে সুবিধাজনক স্থানে জাহাজটি নোঙর করায় দস্যুরা। এরপর মুক্তিপণের বিষয়ে দেনদরবার শুরু হয়। এর ৩২ দিন পর ১৩ এপ্রিল মুক্তিপণের ডলার জলদস্যুদের হাতে পৌঁছালে জিম্মিদশা থেকে জাহাজটি মুক্ত হয়।