সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (২৯ এপ্রিল) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। একই সঙ্গে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।
সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে এদিনের লেনদেন শুরু হয়। তবে, লেনদেন শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যে সূচক পতনমুখী অবস্থানে নেমে আসে। পরবর্তী সময়ে সূচক আবার উর্ধ্বমুখী প্রবণতায় চলে আসে। কিন্তু, সাড়ে ১১টার দিকে সূচক পুনরায় পতনমুখী হতে থাকে। দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৪৬.১৫ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৫৬৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসই শরিয়া সূচক ১২.৩৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২২১ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ২.১৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৯৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৯৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৮৬টি কোম্পানির, কমেছে ২৭৭টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪টির। ডিএসইতে এদিন মোট ৬৬৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৬১৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স ২৮.৯৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯ হাজার ৬০৭ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪২.০৮ পয়েন্ট কমে ১৫ হাজার ৯৫৭ পয়েন্টে, শরিয়া সূচক ২.১৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫১ পয়েন্টে এবং সিএসই৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে ১২ হাজার ২২৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এদিন সিএসইতে ২২১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৭৪টি কোম্পানির, কমেছে ১২৩টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৪টির। দিন শেষে সিএসইতে ৫৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৫ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।