দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: একটু একটু করে পুড়ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন। গত শনিবার (৪ মে) চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবনিয়া লতিফের ছিলা এলাকায় লাগা আগুন এরই মধ্যে ছড়িয়েছে দুই কিলোমিটার অংশে। আগুন নিয়ন্ত্রণে বন বিভাগের পাশাপাশি কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস, কোস্ট গার্ড, বিমান ও নৌবাহিনী। তবে দুর্গম এলাকা হওয়ায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে। স্থানীয়দের ধারণা, এটি নাশকতা। পরিকল্পিতভাবেই কেউ আগুন দিয়েছে।

 

এদিকে শনিবার বিকেলে আগুন লাগার খবর পেয়ে বন বিভাগ এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী আগুন নিভানোর চেষ্টা করলেও দুর্গম এলাকা হওয়ায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে পারেনি। পরদিন রোববার সকাল থেকে বন বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, সরকারের বিভিন্ন বাহিনী, এনজিও ও এলাকাবাসী একসঙ্গে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। আগুন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এখনো পর্যন্ত অনেক জায়গায় আগুন ও ধোয়ার কুণ্ডলী দেখা যাচ্ছে।

যদিও সুন্দরবন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ নুরুল আমিন জানিয়েছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে চার-পাঁচ জায়গায় আগুন জ্বলছে। তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় আগুন নিভানের পর কিছুক্ষণ পরপর অন্য জায়গা থেকে আগুন আবার দাউ দাউ করে জ্বলে উঠছে। তবে খাল থেকে যেহেতু দুর্গম এলাকায় বনে আগুন জ্বলছে সেখানে সহজে আগুন নিভানো বেগ পেতে হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিস সিভিল স্টেশনের খুলনা বিভাগীয় উপ-পরিচালক মামুন মাহমুদ চ্যানেল 24 অনলাইনকে জানান, যেহেতু আগুন লাগার স্থান থেকে পানি নিতে অনেক কষ্ট হয়। তাই ভাটার সময় অনেকটা বেগ পেতে হচ্ছে আগুন নেভাতে। এদিকে বিমান বাহিনী হেলিকপ্টার থেকে দফায় দফায় পানি ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে।

এদিকে দুপুরে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. খালিদ হোসেন ও পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত ঘটনাস্থাল পরিদর্শন করেছেন। এছাড়া সন্ধ্যায় বাংলাদেশের প্রধান বন সংরক্ষণ আমির হোসেন চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

প্রায় দুই থেকে তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও তা বারবার প্রজ্জ্বলিত হয়ে ওঠে। আগুন লাগার স্থান তিন দিকে আগুন প্রতিরোধ ক্যানেল কাঁটা হলেও পূর্বদিকে এখনো তা কাটা সম্ভব হয়নি। তবে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনকে রক্ষা করার জন্য সকল আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।