বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগ
আইন অনুযায়ী বিভাগীয় প্রধান নিয়োগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম
উপাচার্য এক সপ্তাহ সময় নিলেন।
আইন অনুযায়ী বিভাগীয় প্রধান নিয়োগের দাবিতে প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দিয়েছে বেগম রোকেয়াবিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থায় আগামী রবিবারের মধ্যে এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হাসিবুর রশীদ। তবে নতুন বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ না দেয়া পর্যন্ত বিভাগের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলন করে সোমবার বিকেলে প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে বেলা সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল ৫.৩০টা পর্যন্ত তারা প্রশাসনিক ভবন অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। এ সময় প্রশাসনিক ভবনে কেউ ঢুকতে ও বের হতে পারেননি।
প্রায় দুই মাস হতে বিভাগীয় প্রধান শুন্য থাকায় অচল হয়ে পড়েছে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ। ক্লাস-পরীক্ষার সাথে সাথে বন্ধ হয়ে আছে প্রশাসনিক কাজকর্মও। এ অবস্থায় রবিবার থেকে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ নজরুল ইসলাম গত ১০ মার্চ বিভাগীয় প্রধান হিসেবে তাঁর দায়িত্বের মেয়াদ শেষ করেন। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর আইন ২০০৯ এর ধারা-২৮(৩) অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পালাক্রম অনুযায়ী 'বিভাগীয় প্রধান' হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার কথা বিভাগের অপর সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধানের। কিন্তু তা না করে সহকারী অধ্যাপক নিয়ামুন নাহারকে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব প্রদান করে কর্তৃপক্ষ। নিয়ামুন নাহার উক্ত পদে যোগদান করতে অস্বীকৃতি জানালে দ্বিতীয়বার আইন লঙ্ঘন করে অপর জুনিয়র সহকারী অধ্যাপক সারোয়ার আহমাদকে নিয়োগ দেয়া হয়, তিনিও যোগদান করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এর পর আবারও আইন লঙ্ঘন করে অপর জুনিয়র সহকারী অধ্যাপক মোঃ রহমতুল্লাহ কে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তিনিও দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানালে গত ১০ মার্চ থেকে বিভাগীয় প্রধান শুন্য হয়ে আছে বিভাগটি। এর ফলে বিভাগের সকল কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়েছে। ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ থাকায় আইন অনুযায়ী তাবিউর রহমান প্রধানকে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব প্রদানের জন্য আন্দোলন শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, আইন অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব প্রদান করে বিভাগের কার্যক্রম দ্রুত সচল করা হোক। সোমবার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে দফায় দফায় কথা বলেছেন প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা। কিন্তু উপাচার্যের সাথে কথা না হলে কোন বিষয় শুনবেন জানিয়ে শিক্ষার্থীরা শ্লোগান দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ উপাচার্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মী দ্বারা বেষ্টিত হয়ে শিক্ষার্থীদের সামনে কথা বলতে আসেন এবং রবিবার নাগাদ আইন অনুযায়ী বিভাগীয় প্রধান নিয়োগেরআশ্বাস দেন। এসময় শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের সাথে আরো কথা বলতে চাইলে ছাত্রলীগ সভাপতি পোমেল বড়ুয়া আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে চড়াও হন এবং দুর্ব্যবহার করেন। সার্বিক বিষয়ে কথা বলার জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদকে বার বার ফোন করা হলেও তিনি আর রিসিভ করেন নি।
এএইচ/এসকে/দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টি ফোর ডট কম।