দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: চট্টগ্রামে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত কো-পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদের ঢাকায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে দাফনের জন্য নেয়া হচ্ছে মানিকগঞ্জে। এর আগে গতরাতেই বিমানবাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটিতে কো-পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

 

পরিবার সূত্রে জানায়, মানিকগঞ্জ সদরের সেওতা কবরস্থানে দাফনের জন্য সবধরণের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। জুমার নামাজের পর জানাজা শেষে তাকে সেখানে দাফন করা হবে।

এদিকে, দুর্ঘটনার প্রায় ১১ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামের কর্ণফুলি নদী থেকে উদ্ধার হয় বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি। এটি উদ্ধার করে নৌবাহিনী। পরে সেটা বিমানবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঘটনা তদন্তে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। আকাশ থেকে বিমানটি কর্ণফুলী নদীতে ছিটকে পড়ে পানিতে তলিয়ে যায়। এর আগে পাইলট উইং কমান্ডার মো. সোহান হাসান খান ও স্কোয়াড্রন লিডার আসীম জাওয়াদ জরুরি প্যারাসুট দিয়ে বিমান থেকে নদীতে অবতরণ করেন। বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দল এবং স্থানীয় জেলেদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তাদের উদ্ধার করা হয়। আসীম জাওয়াদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য বিএনএস পতেঙ্গাতে নেয়া হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।