কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি ব্যাংক রিপোর্টারদের
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দরবেশ পীর-বাবাদের ছত্রছায়ায় ব্যাংক খাতে এখন আড়তদার তৈরি হয়েছে। চলছে হাজার হাজার কোটি টাকার লুটপাট ও নৈরাজ্য। এসব লুটপাটের পাহারা দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা বলে জানিয়েছেন সম্পাদক ও সাংবাদিক নেতারা।
তারা জানান, সাংবাদিকরা জনগণ ও সরকারের সহায়ক হিসেবে কাজ করে থাকেন। তাই অর্থনৈতিক এ সংকট ও আসন্ন বাজেটকে সামনে রেখে এখনই কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশের বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। তা না হলে আগামীতে বড় ধরনের আন্দোলনের হুমকি দেন জাতীয় প্রেসক্লাব, বিভিন্ন সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা।
বুধবার (১৫ মে) রাজধানীর পুরানা পল্টন অর্থনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সাংবাদিক নেতারা এসব কথা বলেন। ‘সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা আরোপ বিষয়ে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দকে অবহিতকরণ’ বিষয়ক এক সভার আয়োজন করা হয়। ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধার সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সম্পাদক আবুল কাশেম। ইআরএফ সভাপতি বলেন, গত দেড় মাসের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে তথ্য সংগ্রহে বাধা ও অবাধ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে কী করতে পারি এ বিষয় পরামর্শ ও মতামত নিতে এ আয়োজন করা হয়েছে। রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে থেকে সাংবাদিকদের স্বার্থে সবাইকে পরামর্শ দেওয়ার আহ্বান জানান ইআরএফ সভাপতি।
সমকালের বিশেষ প্রতিবেদক ওবাইদুল্লাহ রনি জানান, গত দেড় মাস ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁস হয়ে যায়। যদি স্পর্শকাতর তথ্য দেশ ও জনগণের জন্য উপকার হয় তাহলে এটাই তো প্রকাশ করা আমাদের কাজ। এছাড়া সাংবাদিকরা বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়ে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে কিংবা দেখা করে, তাদের ডেকে নিয়ে গিয়ে চাকরিচ্যুত করা ও পদোন্নতি না দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, ইআরএফের প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, ইআরএফের সাবেক সভাপতি মনোয়ার হোসেন, বেসরকারি বার্তা সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশের (ইউএনবি) উপদেষ্টা সম্পাদক ফরিদ হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন- ডিইউজের (একাংশ) সভাপতি সোহেল হায়দায় চৌধুরী, সাজ্জাদ আলম খান তপু, ডিইউজের অপর অংশের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি, ইআরএফের সিনিয়র সদস্য সোহেল মঞ্জুর, ইআরএফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান, এস এম রাশিদুল ইসলাম প্রমুখ।