দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:  ভিসানীতির অধীনে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

 

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিট দ্যা রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের ভারতে মিসিং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিষয় বলেও জানান।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জেনারেল আজিজকে ভিসানীতির অধীনে নয়, অন্য অ্যাক্টে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি ৩টি ভিসা পলিসি দেওয়া হয়েছিল। ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ভিসা পলিসির আওতায় এটা করা হয়েছে। সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। মার্কিন সরকারের সাথে একযোগে কাজ করে যেতে চাই। সাবেক সেনাপ্রধানের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে ইউএসএ মিশনকে আগে জানানো হয়েছে। যেহেতু সেনাবাহিনীর বিষয়, এ নিয়ে আগ বাড়িয়ে কিছু বলতে চাই না। গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করতে সত্যিকারে ভিসানীতি হলে, যারা বাধাগ্রস্ত করছে, তাদের বিরুদ্ধে এটা কার্যকর করা হয়। যারা নির্বাচন প্রতিহত করতে চেয়েছে, পুলিশ পিটিয়ে মেরেছে; হত্যা, অগ্নিসন্ত্রাস তাদের বিরুদ্ধে হওয়া উচিত।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত ৬৫ বছরে এই অঞ্চলে ভূমির পরিমাণ কমেছে। পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হয়েও ১৪টি কৃষিপণ্য উৎপাদনে বিশ্বের সেরা ১০টি দেশের মধ্যে আমরা রয়েছি। অথচ আমাদের দেশের আয়তন পৃথিবীর অনেক দেশ থেকে কম। পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে আমাদের গ্রোথ রেট বেশি। এমনকি পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশের থেকেও বেশি। করোনার ধাক্কা যাওয়ার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে পৃথিবীর প্রায় সব দেশে। তবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আর এটি সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে। দেশ আরও এগিয়ে যেতে পারতো, যদি রাজনৈতিক অস্থিরতা না থাকতো-বলেনপররাষ্ট্রমন্ত্রী। মিট দ্যরিপোর্টার্সে মন্ত্রী গত জাতীয় নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, নির্বাচনের পর সবাই তাকিয়েছিল বিশ্ব সম্প্রদায় বর্তমান সরকারকে কীভাবে গ্রহণ করে। বিশ্ব সম্প্রদায় বর্তমান সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছে। ৮০টি দেশের সরকারপ্রধান অভিনন্দন জানিয়েছেন। ৩২টি আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন।