কাঁচামরিচের কেজি ২৪০ টাকা, মুরগি আগের দামেই
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে কাঁচামরিচের দাম কেজিতে অন্তত ৮০ টাকা বেড়ে ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির কেজি যথাক্রমে আগের ২১০ ও ৩৬০ টাকা দরেই বিক্রি হচ্ছে।
সবজির বাজার আগের মতোই চড়া।শুক্রবার (২৪ মে) রাজধানীর শেওড়াপাড়া ও তালতলা বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, ভালো মানের কাঁচা মরিচের কেজি ২৪০ টাকা দরে হচ্ছে, যা গত সপ্তাহেও ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। কাঁচা মরিচের উৎপাদন কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে বলে মনে করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। দামের কারণে বিক্রিও কমেছে বলে জানান তারা।
এ নিয়ে তালতলা বাজারের কাঁচামরিচ বিক্রেতা সুমন মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, গত তিন সপ্তাহ ধরে কাঁচামরিচের বাজার অস্থির। ৮০ থেকে ১০০ টাকার মরিচ এখন ২৪০ টাকা হয়েছে। চাহিদার তুলনার উৎপাদন কম থাকায় এমনটি হয়েছে। তবে দামের কারণে আমাদের বিক্রি অর্ধেকে নেমেছে।
শুক্রবার ব্রয়লার মুরগি ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও একই দরে বিক্রি হয়েছিল। বাজারগুলোতে সোনালি ৩৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি হাইব্রিড ৩৩০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগি ৩৪০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ৩১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে সব ধরনের সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখীর কেজি ১২০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়, শসা ৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, সজনে ১৬০ টাকা এবং কাঁচা আম প্রকারভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মুলা ৫০ টাকা, ফুলকপি প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ব্রোকলি ৪০ টাকা, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা এবং গাজর ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ১০ থেকে ৪০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, কলার হালি ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
লাল শাকের আঁটি ১৫ টাকা, লাউ শাক ৪০ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। দেশি পেঁয়াজের কেজি ৭০ টাকা আর আলুর কেজি ৫৫ টাকা।
বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে লাল ডিমের ডজন ১৫০ টাকা, হাঁসের ডিম ২০০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বাজারগুলোতে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ টাকা। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশের কেজি ১ হাজার ৮০০ টাকা। প্রতি কেজি চাষের শিং (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, মাগুর ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাঙাশ ২১০ থেকে ২৩০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা, বোয়াল ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পোয়া ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ৬০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৬০০ টাকা, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা ১ হাজার ২০০ টাকা, বাইম ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, দেশি কই ১ হাজার ২০০ টাকা, মেনি ৭০০ টাকা, শোল ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা, আইড় ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা, বেলে ৭০০ টাকা এবং কাইক্কা মাছ ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে প্রতি কেজি মোটা চালের দাম ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, বি আর-আটাশ ৫৫ থেকে-৫৮ টাকা, পাইজাম ৫৮ থেকে ৬০ টাকা। মাঝারি মানের চিকন চালের কেজি ৭৫ টাকা। আর ভালো মানের চিকন চালের কেজি ৮০ টাকা।
বাজারগুলোতে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ডাল। দেশি ও আমদানি করা মসুর ডাল ১৫০ টাকা, আমদানি করা মোটা ডালের কেজি ১২০ টাকা, ছোলার ডাল ১৩০ টাকা, অ্যাংকর ডালের কেজি ৯০ টাকা। আদার কেজি ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা এবং রসুন ২২০ থেকে ২৪০ টাকা।