দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: প্রথমে মাঠে নামার সময় গার্ড অব অনার দিলেন সতীর্থরা। রিয়াল মাদ্রিদের সব খেলোয়াড়ের পরনে ছিল ক্রুসের ৮ নম্বর জার্সি।

পরে যখন মাঠ থেকে তুলে নেওয়া হয় তাকে, তখন চারপাশ থেকে ভেসে আসছিল করতালির ধ্বনি।

এই সময়ে এসে টনি ক্রুস ফুটবল থেকে অবসর নেমেন তা হয়তো অনেকেই ভাবেননি। তবুও ভারি মনে ঠিকই নিজেদের 'স্নাইপার'কে বিদায় জানালেন সমর্থকরা। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ক্রুসের শেষ ম্যাচটা অবশ্য জয়ে রাঙাতে পারেনি কার্লো আনচেলত্তির দল। রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছে তারা।

ফল নিয়ে অবশ্য সেসময় কোনো মাথাব্যথা ছিল না রিয়ালের। কেননা লা লিগার শিরোপা আগেই নিশ্চিত করে রেখেছে তারা। তাই ম্যাচটি ছিল কেবলই ক্রুসময়। ৩৪ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারকে বিদায় দিতে রাজকীয় আয়োজন করেন সমর্থকরা। ঘরের মাঠে প্ল্যাকার্ড, ব্যানার তো ছিলই, সেই সঙ্গে গ্যালারিতে হাজির হন বিশাল আকারের টিফো নিয়ে।

মানসিকভাবে শক্ত হিসেবে পরিচিত ক্রুস ৮৬ মিনিটে মাঠ ছাড়ার সময়ে এমন অভিবাদন পেয়ে অশ্রু ধরে রাখতে পারেননি। বিদায় বেলায় তিনি বলেন, 'বিদায় বলাটা সহজ নয়। আমি রিয়ালকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, এখানে থাকা ১০ বছর আমি উপভোগ করেছি। রিয়াল মাদ্রিদ আমার ঘর। মানসিকভাবে আমি খুব শক্তিশালী কিন্তু আমার সন্তানদের প্রতিক্রিয়া আমাকে ভেঙে দিয়েছে। '

ক্রুসের মতো মিডফিল্ডারকে পাওয়ায় রিয়াল ভাগ্যবান বলে মনে করেন কার্লো আনচেলত্তি। ২০১৪ সালে অনেকটা তার জোরাজুরিতেই এই মিডফিল্ডারকে দলে ভিড়িয়েছিল রিয়াল। সেই ক্রুস এখন ছেড়ে যাচ্ছেন ক্লাবটির অন্যতম কিংবদন্তি হিসেবে।

রিয়াল কোচ বলেন, 'অবশ্যই কিংবদন্তিদের মধ্যে অন্যতম। খুবই উচ্চমানের একজন মিডফিল্ডার, অসাধারণ চরিত্রের একজন মানুষ, যার অহংকার একদমই কম, খুবই বিনয়ী, অত্যন্ত পরোপকারী এবং দলের সেবায় সবসময় নিয়জিত। তাকে ১০ বছর পাওয়াটা দারুণ সৌভাগ্যের। '

সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে শেষবার পা রাখলে ক্রুস রিয়ালকে পুরোপুরি বিদায় জানাবেন চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল খেলে। বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে সেই ম্যাচে ক্রুসকে রাজকীয় বিদায় উপহার দিতে চান আনচেলত্তি, 'আশা করি, আগামী শনিবার চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা উঁচিয়ে ধরব আমরা। তার মতো কিংবদন্তিকে এভাবে বিদায় জানানোটা হবে অসাধারণ। '