"হজযাত্রীদের ভোগান্তিতে যেসব এজেন্সি ফেলেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা"
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, এ বছর যেসব এজেন্সি হজযাত্রীদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে বা ভোগান্তিতে ফেলেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার (৮ জুন) সকাল ৯টার দিকে সৌদি আরবে হজ ব্যবস্থাপনা পরিদর্শনে যাওয়ার আগে রাজধানীর বিমানবন্দরের আশকোনা হজ ক্যাম্পে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলে তিনি।
মন্ত্রী বলেন, বিগত দিনে কয়েকটি ট্রাভেল এজেন্সির অব্যবস্থাপনার জন্য তাদের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। এবার হজ ব্যবস্থাপনায় আমরা কিন্তু কোনো ভোগান্তি পাইনি। যখন ভোগান্তির কথা বলা হচ্ছে, তখন বাংলাদেশের ৮৫ শতাংশ ভিসা সম্পন্ন হয়ে গেছে। এদিকে ভারত, পাকিস্তান ইন্দোনেশিয়া, তাদের ভিসা সম্পন্ন হওয়ার হার ছিল ৪৯ শতাংশ, ৫১ শতাংশ ও ৫৯ শতাংশ। কিন্তু বাংলাদেশের হার ছিল ৬০ শতাংশ। অন্যান্য দেশের ভিসা বন্ধ হলেও বাংলাদেশের হজযাত্রীদের ভিসা এক সেকেন্ডের জন্য বন্ধ হয়নি।
এবার হজ ব্যবস্থাপনায় যেসব এজেন্সি ও ব্যাংক হজ যাত্রীদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার চেষ্টা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও যোগ করেন তিনি।
কবে নাগাদ ট্রাভেল এজেন্সি ও ব্যাংকের ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেয়ে হজযাত্রীরা নির্বিঘ্নে হজ পালনে যেতে পারবেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী বলেন, এবার হজ ব্যবস্থাপনায় ব্যাংকের মাধ্যমে হজযাত্রীদের ভোগান্তিতে পরার যে অভিযোগ উঠেছে, সেটি সঠিক ছিল। গতবছর দুই জায়গাতে সমস্যা হয়েছিল, আমরা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তা সমাধান করেছিলাম। শেষের দিকে এসে একটি ব্যাংকে প্রবলেম (সমস্যা) হওয়া সত্ত্বেও আমরা এক দিনের মধ্যে তা সমাধান করেছি।
তিনি বলেন, যেসব ব্যাংক হজযাত্রীদের ভোগান্তি সৃষ্টি করেছে সেসব ব্যাংক ও এজেন্সির তালিকা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। যার অপরাধ যতটুকু তার শাস্তিও ততটুকু হবে।
ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, এখন পর্যন্ত ৭০ হাজার হজযাত্রী মক্কায় পৌঁছে গেছেন। বাকি ১৫ হাজার হজযাত্রী ১২ জুনের মধ্যে পৌঁছে যাবেন।
এ সময় সবার কাছে দোয়া চান ধর্মমন্ত্রী।
পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৫ জুন। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাত্রার প্রথম ফ্লাইট ৯ মে ও শেষ ফ্লাইট ১০ জুন।
হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ২০ জুন আর শেষ ফিরতি ফ্লাইট ২২ জুলাই।